কলকাতা সফরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কলকাতায় আসার আগে গুরুকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে লিখলেন রামকৃষ্ণ মিশনের প্রয়াত অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দর কথা। বেলুড় মঠে গিয়ে তাঁর সান্নিধ্য পাবেন না ভেবে মনের শূন্যতাও গোপন করেননি তিনি।
আজ, শনিবার মোদী কলকাতা সফরে আসছেন। কলকাতা বন্দরের দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলেনিয়াম পার্কে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। জলপথে যাবেন বেলুড় মঠেও। কলকাতায় পা রাখার আগেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোদী টুইট করলেন— “আমি আনন্দিত এবং উত্সাহিত যে আজ এবং আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গে কাটাব।” রবিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী। তার আগেই এ দিন সেখানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দর জন্মজয়ন্তীর পবিত্র সময়ে রামকৃষ্ণ মিশনে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে। বেলুড় মঠ সর্বদাই একটা বিশিষ্ট জায়গা।”
একটা শুভ কাজে যাচ্ছেন কলকাতায়। কিন্তু তার মধ্যেও কোথাও যেন একটা শূন্যতা থেকে যাবে তাঁর মনে। স্বামী আত্মস্থানন্দ প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে এমনটাই লিখেছেন মোদী। তিনি বলেন, “একটা শূন্যতা থাকবে। যিনি আমাকে ‘জন সেবাই প্রভু সেবা’র মহত্ নীতিটি শিখিয়েছিলেন, সেই শ্রদ্ধেয় স্বামী আত্মস্থানন্দজি এখন আর নেই। রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে তাঁর পবিত্র সান্নিধ্য না পাওয়াটা অকল্পনীয়!”
এক সময় রামকৃষ্ণ সঙ্ঘে সন্ন্যাসী হিসেবে যোগ দিতে চেয়েছিলেন যুবক মোদী। সে সময় তাঁকে নিরস্ত করেছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ। বলেছিলেন এ পথ তাঁর নয়। তাঁর জন্য ভিন্নতর কর্তব্য রয়েছে। পরবর্তীকালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেব শপথ গ্রহণের আগেও তিনি দেখা করে গিয়েছিলেন এই সন্ন্যাসীর সঙ্গে। নিয়ে গিয়েছিলেন প্রসাদী ফুল। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে মোদীর যোগ বহুদিনের। এবার কলকাতা সফরের আগে সে কথাই আরও একবার মনে করালেন মোদী।
তবুও একটা শূন্যতাও থাকবে! যিনি আমাকে ‘জন সেবাই প্রভু সেবা’র মহৎ নীতিটি শিখিয়েছিলেন সেই শ্রদ্ধেয় স্বামী আত্মস্থানন্দ জি এখন আর নেই। রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে তাঁর পবিত্র সান্নিধ্য না পাওয়াটা অকল্পনীয়!
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও বিরোধিতা চরমে। তাই মোদীর এই সফর ঘিরে একটা গন্ডগোলের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই মোদী যাত্রাপথকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে রাজ্য প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় পুলিশ প্রশাসনকে তেমন নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক হওয়ার কথাও রয়েছে তাঁর। আর এ নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কংগ্রেস-সিপিএম একযোগে অভিযোগ তুলে বলেছে এটা মমতার দ্বিচারিতা। মোদীর সফরের জন্যই ১৩ জানুয়ারি বিরোধীদের ডাকা বৈঠক বাতিল করেছেন তিনি।