কলকাতায় জালনোট সহ ধৃত দুই যুবক। ছবি: কলকাতা পুলিশের সৌজন্যে।
আসল আর নকলের মধ্যে ফারাক বোঝা সাধারণ মানুষের পক্ষে তো সম্ভবই নয়। এমনকি, দু’হাজার টাকার নোট এতটাই নিখুঁতভাবে জাল করা হয়েছে, তা দেখে চমকে গিয়েছেন গোয়েন্দারাও।
কোথায় তৈরি হচ্ছে এই জাল নোট ? নারকেলডাঙ্গা থেকে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতারের পর এখন সেটাই জানার চেষ্টা করছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের অফিসারেরা।
সোমবার বিকেলে একটি নারকেলডাঙ্গার একটি স্কুলের সামনে থেকে গোলাম রব্বানী (২৫) এবং আলামিন শেখ (২২) নামে দুই যুবকে গ্রেফতার করা হয়। দু’জনেরই বাড়ি মালদার বৈষ্ণবনগরে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫ লক্ষ টাকার জাল নোট।
গোয়েন্দাদের সব থেকে বেশি ভাবাচ্ছে, এই জাল নোটের গুণমান নিয়ে। এত ‘উন্নতমান’-এর জাল নোট সম্প্রতি ধরা পড়েনি। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের মাথাদের কাছে পৌঁছতে চাইছেন অফিসারেরা।
আরও পড়ুন, চাকরি নিয়ে ভুয়ো প্রচার, স্থগিত মেলা
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে, তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না এসটিএফ। বেশ কয়েকটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, জালনোটের মাধ্যমে অস্ত্রের বেচাকেনাও হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও সে রকম কোনও পরিকল্পনা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নেপাল-বাংলাদেশ এবং ভারতের এজেন্টরা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এ রাজ্যের মালদা, মুর্শিদাবাদের যুবকদের ‘কমিশন’-এর ভিত্তিতে কাজে লাগিয়ে জাল নোটের কারবার ফেঁদে বসেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। কলকাতায় কাউকে এই জাল টাকা দিতে এসেছিল দু’জন। তার আগেই জালে পড়ল দুই এজেন্ট।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)