কখনও শিলাবৃষ্টি, কখনও ঝড়, আবার কখনও রোগ পোকায় নষ্ট হয় ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা তাকিয়ে থাকেন সরকারি ক্ষতিপূরণের দিকে। অথচ ঋণী হোন বা অঋণী—ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সব চাষি পেতে পারেন শস্যবিমার অর্থ।
কিসান ক্রেডিট কার্ড থাকা চাষিরা অনেকেই স্বল্প সুদে ব্যাঙ্ক অথবা কৃষি সমবায় থেকে বিভিন্ন চাষের জন্য ঋণ নেন। তাঁদের শস্যবিমার অর্থ পেতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু যেটা অনেকে জানেন না, সেটা হল, অঋণী চাষিদের জন্যও রয়েছে শস্যবিমার সুবিধা। এক্ষেত্রে চাষের আগে সমবায় অথবা ব্যাঙ্ক থেকে চাষিকে নিতে হয় শস্যবিমা সংক্রান্ত ফর্ম। তাতে জানাতে হয় কোন মৌজায়, কত জমিতে, কী ধরনের ফসল চাষ করতে চলেছেন। ঋণী কৃষকের মতো একই ভাবে অঋণী কৃষকের শস্যবিমার ফর্ম সমবায় অথবা ব্যাঙ্ক মারফত পৌঁছবে বিমা সংস্থার কাছে। সরকারি ভাবে অঋণী কৃষকদের বিমা অর্থও জমা দেওয়া হয়। এই বিষয়টি সম্বন্ধে চাষিদের একটা বড় অংশ ওয়াকিবহাল নন। ব্যাঙ্ক এবং সমবায়গুলির স্বার্থ না থাকায় তারাও অঋণী কৃষকদের নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না। বর্ধমানের এক সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ মেনে নেন, ‘‘প্রশিক্ষণ শিবির, কৃষি মেলা-সহ নানা অনুষ্ঠানে বিষয়টি জানানো হয়। তবুও এটা নিয়ে অজ্ঞতা রয়েছে সাধারণ চাষিদের মধ্যে।’’