রাজস্থান থেকে পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ছবি: এআই।
মালদহের কালিয়াচক থেকে রাজস্থানে কাজ করতে গিয়েছিলেন আমির শেখ। অভিযোগ, বাংলাদেশের নাগরিক সন্দেহে তাঁকে আটক করে সে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচার চেয়ে এ বার কলকাতা হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস আবেদন দায়ের করেছেন আমিরের বাবা জিয়েম শেখ।
পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম বিষয়টি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আমির রোহিঙ্গা নন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিকও নন। তবুও তাঁকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজস্থানের বিজেপি সরকার। আমিরকে বেআইনি ভাবে আটক করার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সামিরুল আরও জানিয়েছেন, আমিরের পরিবারের নামে জমির নথিপত্র রয়েছে, সেগুলি স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ের। তার পরেও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সামিরুল। আমিরের বাবা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এর আগে বিজেপি-শাসিত ওড়িশায় আটক করা হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। তাঁদের কেউ মালদহ, কেউ মুর্শিদাবাদ, কেউ আবার বীরভূমের বাসিন্দা। জুলাই মাসে সেই নিয়ে মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। ওড়িশা সরকার হাই কোর্টে জানিয়েছিল, বাংলার কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়নি। ভারতের নাগরিক কি না, সেই সন্দেহ দূর করতেই আটক করা হয়েছিল। সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে ওড়িশা সরকারকে হলফনামা দিতে হবে। আগামী ২৮ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার।