West Bengal PCC Office Attacked

প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে হামলার ঘটনায় ধৃত তিন, বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের খোঁজে বাড়িতে পুলিশ

শুক্রবার সকালে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে রাকেশের নেতৃত্বে একদল সমর্থক বিজেপির পতাকা হাতে ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, রাকেশ ছাড়াও সেখানে ছিলেন বিজেপি নেতা প্রতীক পান্ডে। বিধান ভবনের বাইরে ঝোলানো কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ছবিতে কালি লেপে দেন বিজেপির লোকজন। ভিতরে ঢুকে তাণ্ডবও চালান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৪০
Share:

শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের দফতরে হামলার দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।

কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে তাণ্ডব চালানোর ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের ঘনিষ্ঠ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম বিজয়প্রসাদ ধানুক, সন্তোষকুমার রাজভর এবং দিব্যেন্দু সামন্ত। তদন্তের স্বার্থে শনিবার দুপুরে রাকেশের বাড়িতেও যায় পুলিশের একটি দল। কিন্তু বিজেপি নেতার খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

হামলার ঘটনায় শুক্রবারই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় এন্টালি থানায়। রাজ্য বিজেপির বক্তব্য জানতে চেয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে খোলা চিঠি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। পাশাপাশি, নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে ইমেল মারফত গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেও চান কংগ্রেস নেতৃত্ব। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে রাকেশের খোঁজে তাঁর বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। কিন্তু রাকেশ বাড়িতে ছিলেন না। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় রাকেশ-ঘনিষ্ঠ তিন জনকে।

অভিযোগ, শুক্রবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে রাকেশের নেতৃত্বে একদল সমর্থক বিজেপির পতাকা হাতে ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, রাকেশ ছাড়াও সেখানে ছিলেন বিজেপি নেতা প্রতীক পান্ডে। ঘটনাচক্রে, এর আগেই সমাজমাধ্যমে লাইভে এসে রাকেশ ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘আজ যা হবে, এর পর গোটা দেশে কংগ্রেসিদের বিরুদ্ধে এই রকম বিরোধিতা দেখা যাবে।’’ বিধান ভবনের বাইরে ঝোলানো কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ছবিতে কালি লেপে দেন বিজেপির লোকজন। তার পর ঢুকে পড়েন ভিতরে। সে সময়ে কংগ্রেসের দফতরে বিশেষ কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়ে তাণ্ডব চালানো হয় দফতরে। গেটের বাইরে কংগ্রেস নেতাদের ছবিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পোড়ানো হয় পতাকাও।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। ওই দিন বিহারের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়। সে দিন ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’য় বিহারের দ্বারভাঙা থেকে মুজফ্‌ফরপুর যাচ্ছিলেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, তেজস্বী যাদবেরা। অভিযোগ, দ্বারভাঙায় কংগ্রেসের একটি মঞ্চ থেকে বছর কুড়ির এক তরুণ প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তাঁর প্রয়াত মাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। পরে দ্বারভাঙা থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র সমালোচনা শুরু করে বিজেপি। তার প্রতিবাদেই বিধান ভবনে তাণ্ডব চালায় বিজেপির একটি দল।

শনিবার দুপুরেই সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োবার্তা পোস্ট করে রাকেশ বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্বর্গীয় মাকে নিয়ে কংগ্রেস কুমন্তব্য করায় কাল ছোট্ট এক আন্দোলন করেছিলাম। বঙ্গে সেটাই আমার বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ বিশাল দল নিয়ে আমার ঘরে আসে আমায় গ্রেফতার করার জন্য। আমায় গ্রেফতার করতে পারেনি, কিন্তু আমার কিছু সাথীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে। তাঁদের পরিবারের উদ্দেশে বলছি, ভয় পাবেন না, আমি আপনাদের পাশে আছি। যে কোনও রকম আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement