— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
চার বছর আগে কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের মামলায় ধৃত কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসি (তৎকালীন ওসি, নারকেলডাঙা থানা) শুভজিৎ সেনকে জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জেল হেফাজতে থাকা ওই ওসির জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছেন।
প্রায় সাড়ে চার বছরের পুরনো এই মামলায় নাম জড়িয়েছে একাধিক পুলিশকর্মী ও আধিকারিকের। গত ১৮ জুলাই বিশেষ সিবিআই আদালত কলকাতা পুলিশের তৎকালীন এসআই রত্না সরকার এবং হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, শুভজিৎ এবং ‘খুনে সাহায্যকারী’ সুজাতা দে-র জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে চলতি মাসের শুরুতে রত্না এবং দীপঙ্কর জামিন পেয়ে যান। সিবিআই হাই কোর্টে তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করলেও বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত শেষমেশ দুই পুলিশকর্মীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এ বার মামলায় আর এক অভিযুক্ত শুভজিৎও জামিন পেলেন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। ওই সময়েই ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হন পূর্ব কলকাতার কাঁকুড়গাছির অভিজিৎ। পরিবারের অভিযোগ, ফল প্রকাশের পরেই গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় অভিজিৎকে। প্রথমে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ওই মামলায় পুলিশ প্রথমে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করে সিবিআই। তাতে মোট ২০ জন অভিযুক্তের নাম ছিল, যাদের মধ্যে ১৫ জনের নাম ছিল পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটেও। চলতি বছরের ২ জুলাই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের। শুভজিৎ, সুজাতা, দীপঙ্কর, রত্নাদের নামও রয়েছে সেই চার্জশিটে।