হলফনামা পেশে দেরি, জরিমানা শিক্ষাকর্তার

২০০৯ সালে ৯০০০ শিক্ষকের একটি প্যানেল তৈরি করে পশ্চিম মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। প্যানেলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পরের বছর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুমন্ত রায়-সহ বেশ কয়েক জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৪
Share:

পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রায় ন’বছর ধরে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও মামলার আবেদনকারীদের পেশ করা অতিরিক্ত হলফনামার উত্তর-সহ পাল্টা হলফনামা দাখিলে টালবাহানা করায় বুধবার ওই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রাজ্য লিগাল এড সার্ভিসে তাঁকে ওই টাকা জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, কী কারণে হলফনামার উত্তর দিতে দেরি, আগামী ২ মে তাঁর আদালতে হাজির হয়ে তা জানাতে হবে ওই সংসদ-প্রধানকে।

Advertisement

২০০৯ সালে ৯০০০ শিক্ষকের একটি প্যানেল তৈরি করে পশ্চিম মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। প্যানেলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পরের বছর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুমন্ত রায়-সহ বেশ কয়েক জন। তাঁদের আইনজীবী পার্থদেব বর্মণ ও মনসারাম মণ্ডল এ দিন জানান, মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়, নম্বরের ভিত্তিতে মেধা-তালিকা তৈরিতে দুর্নীতি হয়েছে। এমন অনেকে পরে চাকরি পেয়েছেন, যাঁদের নাম প্যানেলে ছিল না। তফসিলি জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত বলে এমন অনেকের নাম প্যানেলে ছিল, যাঁরা আদৌ ওই সব সম্প্রদায়ের নন।

আইনজীবীরা জানান, অভিযোগের সমর্থনে মামলার আবেদনকারীরা মাস কয়েক আগে আদালতে অতিরিক্ত হলফনামা দিয়ে বেশ কিছু তথ্য পেশ করেছিলেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ওই হলফনামার উত্তর দিয়ে পাল্টা হলফনামা পেশ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তা দিতে টালবাহানা করছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement