ত্রিপুরার দায়িত্ব পেলেন ফিরহাদ

ফিরহাদকে যে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা মঙ্গলবার ত্রিপুরায় দলের রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিংহকে জানিয়ে দিলেন দলনেত্রী। কালীঘাটে মমতার বাড়ির

Advertisement

দেবারতি সিংহ চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৩
Share:

সরকারি জমি দখলমুক্ত করার দাওয়াই দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

অসমের সঙ্গেই এ বার ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্ব পেলেন ফিরহাদ হাকিম। গত কয়েক বছরে ত্রিপুরায় নিজের কোনও সংগঠন গড়তে পারেনি তৃণমূল। কংগ্রেস বিধায়ক, নেতা ভাঙিয়ে তৃণমূল যে সংগঠন করেছিল, তাঁরাও বিজেপিতে চলে যাওয়ায় এখন তৃণমূলের ঘর শূন্য। গত বিধানসভা ভোটে লড়লেও একটিও আসন জিততে পারেনি তারা। এ বার সেখানে নিজের পায়ে দলকে দাঁড় করাতে নেতৃত্বে বদল আনলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের সময়ে দায়িত্বে ছিলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে সেখানে দলের সাংগঠনিক বিস্তার ঠিক মতো হচ্ছে না বলে তৃণমূল নেত্রী মাসখানেক আগে দলীয় বৈঠকে সব্যসাচীকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সব্যসাচীর বদলে ফিরহাদকে যে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা মঙ্গলবার ত্রিপুরায় দলের রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিংহকে জানিয়ে দিলেন দলনেত্রী।

কালীঘাটে মমতার বাড়ির কালীপুজোয় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন আশিসবাবু। তখনই ফিরহাদের উপস্থিতিতে আশিসবাবুকে মমতা বলেন, ‘‘ভাল করে কাজ করতে হবে। সাধারণ কর্মীদের নিয়েই সংগঠন জোরদার করতে হবে। ববি (ফিরহাদের ডাকনাম) দেখবে পুরোটা। সকলকে নিয়ে খুব ভাল করে কাজ কর।’’ এ মাসের শেষের দিকে ফিরহাদের উপস্থিতিতে উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে সভা করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে পরে আশিসবাবু জানান।

Advertisement

ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলের উপর আক্রমণ বেড়েছে বলে আশিসবাবুর অভিযোগ। তাঁর দাবি, ‘‘একটি ভাড়াবাড়িতে দলীয় কার্যালয় খুলেছিলাম। মাস দেড়েক আগে সেখানে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মীরা। আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। তার পর থেকে ওই কার্যালয় বন্ধ।’’ তৃণমূলের কর্মীদেরও বিজেপি হুমকি দিচ্ছে বলে আশিসবাবুর অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সেখানে সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে তৃণমূল নেত্রী ফিরহাদকে দায়িত্বে আনছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন