পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল ছবি
মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং জমা জল সরানোর মতো কাজকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। এই ধরনের রোগ প্রতিরোধে পুরোদমে কাউন্সিলরদের পথে নামার নির্দেশ দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
মঙ্গলবার সল্টলেকের শুভান্নে উত্তর ২৪ পরগনার পুরসভাগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‘রেলের মতো কেন্দ্রের বিভিন্ন সংস্থায় পুরকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নিজেরাও কাজ করছে না। প্রয়োজনে নোটিস পাঠানো হবে।’’
পুর দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের তুলনায় এ বার ডেঙ্গি-পরিস্থিতি ভাল বলেই মনে করছে প্রশাসন। তবু কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের কাজ জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে। যে-সব এলাকায় জল জমার সমস্যা রয়েছে, সেখানে জমা জল দ্রুত সরানো, সাফাইয়ের কাজে জোর দিতে বলা হয়েছে।
বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ এবং বাড়ির ভিতরে মশার উৎস খুঁজে তা ধ্বংস করার কাজে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী। বিশেষ করে ভাটপাড়া, হাবড়া, অশোকনগর, কামারহাটি পুরসভা এবং বিধাননগর পুর নিগম এলাকায় জমা জল সরানো থেকে শুরু বাড়ি বাড়ি প্রচারের বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা উঠে এসেছে বৈঠকে।
বরাহনগর পুরসভার চেয়ারম্যান-পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দিলীপ বসু বলেন, ‘‘গত বছরের তুলনায় এ বারের পরিস্থিতি ভাল। তবু আত্মতুষ্টির অবকাশ নেই। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জোর কদমে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’