ফিরলেন বাংলাদেশে আটকে পড়া ধীবরেরা 

গত ৩ জুলাই কাকদ্বীপের মৎস্যবন্দরের বিভিন্ন ঘাট থেকে শ’দেড়েক ট্রলার কেঁদোদ্বীপের কাছে গিয়েছিল। সেখান থেকেই ৪ জুলাই গভীর সমুদ্রে রওনা দেয়। ৫ জুলাই ভোর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ০৩:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

অবশেষে ঘরে ফিরলেন কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরা। দিন পনেরো ধরে তাঁরা আটকে ছিলেন বাংলাদেশে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ৩২টি ট্রলার এবং ৫১৬ জন মৎস্যজীবী কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দরে ফেরেন।

Advertisement

গত ৩ জুলাই কাকদ্বীপের মৎস্যবন্দরের বিভিন্ন ঘাট থেকে শ’দেড়েক ট্রলার কেঁদোদ্বীপের কাছে গিয়েছিল। সেখান থেকেই ৪ জুলাই গভীর সমুদ্রে রওনা দেয়। ৫ জুলাই ভোর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়। বিপদ এড়াতে ট্রলারগুলি ফিরতে শুরু করেছিল। তারই মধ্যে এফবি বাবাজি, এফবি জয় যোগীরাজ, এফবি দশভূজা এবং এফবি নয়ন নামে চারটি ট্রলার ঢেউয়ের তোড়ে তলিয়ে যায়। কয়েক জনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ ২৩ জন।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ট্রলারগুলি ঝড়ের দাপটে বাংলাদেশের পায়রা বন্দরের পটুয়া কলাপাড়া কোস্টাল থানা এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। মৎস্যজীবীদের ফেরাতে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। আবহাওয়া খারাপ থাকায় সমুদ্র উত্তাল ছিল। তাই ফেরার প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হয়েছে।

Advertisement

রতন মণ্ডল, সনাতন জানারা বলেন, ‘‘আমাদের ট্রলারে খাবার কিছুটা ছিলই। তবে ওখানে যাওয়ার পরে প্রতিদিন নিয়ম করে চাল-ডাল, মশলাপাতি দেওয়া হত।’’ বাংলাদেশ প্রশাসনের ব্যবহারে সকলেই খুশি।

যাঁরা ফিরে এলেন, তাঁদের সরকারি আধিকারিকেরা সতর্ক করে দিয়ে জানান, সমুদ্রে যাওয়ার নিয়ম-নীতি যেন সকলে মেনে চলেন। আবহাওয়ার খোঁজ না নিয়ে কেউ যেন সমুদ্রে পাড়ি না দেন। এ দিনের তদারকিতে ছিলেন উপকূল রক্ষীবাহিনীর ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টালের কম্যান্ডার অভিজিৎ দাশগুপ্ত, ডায়মন্ড হারবারের সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত প্রধান, কাকদ্বীপের এসডিপিও অনিল রায়, মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির বিজন মাইতি, সতীনাথ পাত্ররা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন