উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাসকের হস্তক্ষেপ এবং শিক্ষা বিলের বিরুদ্ধে শিক্ষা শিবিরের একাংশ এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন। শিক্ষা বিল নিয়ে এ বার রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) বিমল চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষা নিয়ন্ত্রণে সরকারের যে-কোনও চেষ্টার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সঙ্কল্প করেছেন তিনি।
রবিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারভাঙা হলে ‘অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি’র এক কনভেনশনে বিমলবাবু প্রশ্ন তোলেন, ‘‘পার্থবাবুর (শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়) মুখে ‘টাকা দিই, তাই শিক্ষায় হস্তক্ষেপ করবো’ শুনে আঁতকে উঠেছিলাম। বাম আমলে শিক্ষায় অনিলায়নের (শিক্ষায় সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের সর্বাঙ্গীণ নিয়ন্ত্রণকে এই তকমাই দেওয়া হয়েছিল) মতো এ বার কি পার্থায়ন হতে চলেছে?’’
শুধু শিক্ষামন্ত্রীকে বিদ্রুপ নয়, নাম করেই আরাবুল ইসলামদের মতো নেতাদের দুরমুশ করেন প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল। নতুন শিক্ষা বিলে বলা হয়েছে, কলেজের গভর্নিং বডির মাথায় শিক্ষানুরাগীদের রাখা হবে। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে কাউকে শিক্ষানুরাগী বলা হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিমলবাবু। ভাঙড়ে শাসক দলের নেতা আরাবুল ইসলামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘আর যা-ই হোক, কলেজের গভর্নিং বডিতে ওঁর স্থান হতে পারে না।’’
শিক্ষায় সরকারি লাগাম প্রসঙ্গে নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় বা পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা তোলেন প্রাক্তন এজি। ‘‘কেন্দ্রের মতো রাজ্য সরকারও শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। মুক্ত শিক্ষার পথে যে-কোনও ধরনের বাধা এলে আমি রুখে দাঁড়াব,’’ সঙ্কল্প ঘোষণা করেছেন বিমলবাবু।