হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন বিচারপতি

বুধবার রাতেও তাঁকে অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে জেলেই ফেরত পাঠানো হয়। জেলে রাতে তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’। আপেল, শসা, ন্যাসপাতি ও টক দই। তাই খেয়ে প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালের দোতলার একটি বেডে শুয়ে পড়েছিলেন কারনান। সকালে চেন্নাই থেকে বিমানে কলকাতায় এসে সটান প্রেসিডেন্সি জেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৭ ০৫:৫১
Share:

চিন্নাস্বামী কারনান

রাতভর জেলে থাকার পরে বৃহস্পতিবার সকালে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রাক্তন বিচারপতি চিন্নাস্বামী কারনান। তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠান প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তাঁর ঠিকানা আপাতত এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিসিইউ-৭ নম্বর বেড।

Advertisement

বুধবার রাতেও তাঁকে অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে জেলেই ফেরত পাঠানো হয়। জেলে রাতে তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’। আপেল, শসা, ন্যাসপাতি ও টক দই। তাই খেয়ে প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালের দোতলার একটি বেডে শুয়ে পড়েছিলেন কারনান। সকালে চেন্নাই থেকে বিমানে কলকাতায় এসে সটান প্রেসিডেন্সি জেলে। ধকল তো ছিলই। শুয়ে পড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু সকাল ছ’টাতেই উঠে পড়েন। হাসপাতালের সামনে একটু হাঁটাহাঁটি করে নেন। জেলের বরাদ্দ চা-বিস্কুট খান। তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জেল সুপারের ঘরে। বেলা দশটা পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। কিন্তু বুকে ব্যথা আর অস্বস্তি শুরু হওয়ায় তাঁকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম-এ।

এসএসকেএম-এ মেডিসিন বিভাগে দেখার পরে তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানকার আইসিসিইউ-৭ নম্বর বেডে হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডলের অধীনে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানান, মাঝেমধ্যেই তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। মাথাও ঘুরছে। ইসিজি-তে ‘ইসকিমিক হার্ট’-এর সমস্যাও মিলেছে। এ ছাড়াও, তিনি বহু দিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন। তাঁর ‘ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিসঅর্ডার’ (সিওপিডি)-এর সমস্যাও রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শুক্রবার নিউরোলজি এবং ডায়াবেটিস-এর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হতে পারে। প্রয়োজনে এনজিওগ্রামও করানো হবে।

Advertisement

বিতর্কিত চরিত্র কারনানকে জেল থেকে হাসপাতালে সরাতে পেরে খানিকটা হাঁফ ছেড়েছেন কারাকর্তারা। এক কর্তার কথায়, ‘‘অত বড় দাপুটে বিচারপতি। তার উপরে প্রাক্তন বিচারপতির এমনিই জেলে বহু ঝুঁকি থাকে। তার উপরে তিনি যথেষ্ট মেজাজি। তাই আতঙ্ক কম ছিল না। সে কারণে রাতভর বিশেষ পাহারার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’’ কারারক্ষীরা জানাচ্ছেন, জেলে ঝামেলা করেননি কারনান। এক কারারক্ষী বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট সহযোগিতাই করেছেন। আমরা ‘গুড মর্নিং’ বললে সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যুত্তর দেন। হাসিমুখে ছিলেন। তবে উনি হাসপাতালে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন