গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
নেতাজির আদর্শ এবং ভাবাবেগই ফরোয়ার্ড ব্লকের মূলপুঁজি ছিল।কিন্তু, সে সবই ইদানীং ‘হাইজ্যাক’ করে নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাই প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ থেকে আবারও রাস্তায় নামছে তারা। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, কাদম্বরী মরিয়া প্রমাণ করিলেন...
বিজেপি ইদানীং নানা ভাবে নেতাজিকে সামনে তুলে ধরে নিজেদের কর্মসূচি ঠিক করছে। নেতাজিকে নিয়ে তাদের এই সক্রিয়তা ঠেকাতে এ বার উদ্যোগী হল ফরোয়ার্ড ব্লক। হাতিয়ার ফের সেই নেতাজি-ই।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে আটকাতে এ বার ফরওয়ার্ড ব্লক তাই আয়োজন করছে‘নেতাজি সম্প্রীতি যাত্রা’র। ২০১৯-এর ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে ওই শোভাযাত্রা রাজ্যের তিন প্রান্ত থেকে শুরু হবে। অনেকটা রথের মতো দেখতে ট্যাবলো সাজিয়ে সেই শোভাযাত্রা কলকাতায় নেতাজির বাড়িতে এসে পৌঁছবে। ফরোয়ার্ড ব্লক সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই তিন শোভাযাত্রার একটি কোচবিহার, একটি পুরুলিয়া এবং অন্যটি আসানসোল থেকে আসবে।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে কংগ্রেসকেই ভোট, বলে দিল সিপিএম
তার আগেই ডিসেম্বরের ৫, ৭ এবং ৯ তারিখে রাজ্যের তিন প্রান্ত থেকে বিজেপিও তিনটে ‘রথযাত্রা’ শুরু করছে। ‘গণতন্ত্র বাঁচাও রথযাত্রা’র সূচনা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আগামী ৫ ডিসেম্বর প্রথম রথটা যাত্রা শুরু করবে তারাপীঠ থেকে। ৭ ডিসেম্বর কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে দ্বিতীয় রথেও সওয়ার হবেন তিনি। ৯ ডিসেম্বর তৃতীয় রথের যাত্রা শুরু হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ থেকে। সেখানে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে রথে সওয়ার হবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
তা হলে কি বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও রথযাত্রা’র পাল্টা হিসাবেই ফরোয়ার্ড ব্লকের ‘নেতাজি সম্প্রীতি যাত্রা’? ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। সে জন্যেই আমরা নেতাজি সম্প্রতি যাত্রায় সবাইকে অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করব,বিজেপি বিরোধী সব দলই এই সম্প্রতি যাত্রায় অংশনেবে।’’
আরও পড়ুন: রাহুলের ‘চোর’ স্লোগান বামেরও
ফরোয়ার্ড ব্লকের এই নেতাজি সম্প্রীতি যাত্রা নিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র সায়ন্তন বসু বলেন, “নেতাজি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, সেটা একমাত্র বিজেপিই বলেছে। যারা তোজোর কুকুর বলেছিল, তাদের সঙ্গেই ঘর করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। আর এখন ওরা বিজেপি-বিরোধিতা করে খবরে আসতে চাইছে।”