ফাইল চিত্র।
তেলঙ্গানায় সদ্য একটি বিধানসভা আসন জিতেছে তারা। সেই ‘সাফল্যে’ উজ্জীবিত হয়ে আরও জোর গলায় বাম ঐক্যের ডাক দিল ফরওয়ার্ড ব্লক। তাদের সাফ কথা, নীতির নিরিখে বিজেপির বিকল্প হিসেবে কংগ্রেসকে খাড়া করে লাভ নেই। রাজস্থানে দু’টো বিধানসভা আসনে জয় এবং দ্বিগুণ ভোট বাড়ানোর পরে বাংলার সিপিএম নেতৃত্ব কিন্তু সওয়াল করছেন বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব ভোটকে একত্রিত করার লক্ষ্যেই।
ধর্মতলা থেকে ট্যাবলো, ধামসা-মাদল নিয়ে মিছিল করে রামলীলা ময়দানে গিয়ে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বাম শরিক ফব-র অষ্টাদশ পার্টি কংগ্রেস। ফব-র সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস তেলঙ্গানারই উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যে জমিদার শ্রেণির বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন করে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভিত গড়েছিল, সেই জমিদারদেরই প্রতিনিধি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল সিপিআই। ফল কী হয়েছে, প্রশ্ন তুলেছেন দেবব্রতবাবু। তাঁর আত্মসমালোচনা, ‘‘স্বাধীনতার পর সব বাম শক্তিকে যে ভাবে ঐক্যবদ্ধ করা উচিত ছিল, তা পারিনি।’’ দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ও বিজেপি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বামপন্থী ঐক্য গড়ে আন্দোলনের কথা বলেন। ফব-র জাতীয় সম্পাদক, কেরলের নেতা জি দেবরাজন সওয়াল করেছেন ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির জোটের পক্ষে।
ফব-র পার্টি কংগ্রেসে বাম নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সাড়া দিয়েই আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসার কথা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির। সিপিএমের মতে, পাঁচ রাজ্যের ফলে প্রমাণিত নরেন্দ্র মোদী অপরাজেয় নন। সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘মোদী যখন অপরাজেয় নন, দিদিও নন! বাংলার মানুষ পরিবর্তন চান। কিন্তু জয় ছিনিয়ে আনতে হয়।’’ দিল্লিতে কাল, শুক্রবার থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব ভোটকে এক জায়গায় আনার লাইনেই সওয়াল করতে চান সূর্যবাবুরা। সিপিএম এবং ফব এখনও যে পথের কথা বলছেন, তাতে লোকসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে টানাপড়েনের সম্ভাবনা প্রবল!