Durgapur

দুর্গাপুরে একই পরিবারের চার জন মৃত! খুন হয়েছে, দাবি বাসিন্দাদের, দেহ নিতে বাধা দেওয়া হল পুলিশকে

এলাকাবাসীর দাবি, খুন করা হয়েছে ওই দম্পতি এবং তাঁদের সন্তানদের। দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৩
Share:

দুর্গাপুরে একই পরিবারের চার জনের দেহ উদ্ধার। প্রতীকী ছবি।

একই পরিবারের চার জনের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হল দুর্গাপুরের কুড়ুলিয়াডাঙা এলাকায়। সেখানকার মিলনপল্লীতে এক প্রৌঢ়, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের দুই নাবালক সন্তানের দেহ পাওয়া গিয়েছে। ওই প্রৌঢ়ের নাম অমিত মণ্ডল। বাড়ির ভিতর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। ওই ঘরেই বিছানায় পড়ে ছিল তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের দেহ। তাদের এক জনের বয়স দুই, অন্য দনের দশ। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসী অমিতের বাড়ির সামনে জড়ো হন। তাঁদের দাবি, খুন করা হয়েছে ওই দম্পতি এবং তাঁদের সন্তানদের। দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এলাকাবাসী এবং মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, অমিতের মামাতো ভাই এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে। অমিতের ফোনে প্রায়ই হুমকি দিয়ে তিনি মেসেজ করতেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এটি খুন না আত্মহত্যা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খুনিদের গ্রেফতার না করা হলে, তাঁরা পুলিশকে দেহ নিতে দেবেন না। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অমিত। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও বিবাদ থেকেই এই খুন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিশাল পুলিশবাহিনী পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করছেন।

Advertisement

দুর্গাপুরের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম এই প্রসঙ্গে জানান, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, পরিজনদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল মৃত প্রৌঢ়ের। তবে এটি খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে আগাম কোনও সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে না পুলিশ। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করার পরই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন