Voter List Controversy

এফআইআর নয়, অবৈধ ভাবে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগে চার আধিকারিককে আপাতত সাসপেন্ড করল নবান্ন!

নবান্ন সূত্রে খবর, চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ডিপি (ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং) করবেন মুখ্যসচিব। তবে এখনই এফআইআর করা হচ্ছে না তাঁদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ১৯:৫৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভোটার তালিকায় অবৈধ ভাবে নাম তুলে দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিশন সূত্রে খবর, ওই নির্দেশ মেনে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ডিপি (ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং) করবেন মুখ্যসচিব। তবে এখনই এফআইআর করা হচ্ছে না।

Advertisement

ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার কথা লিখিত ভাবে জানিয়ে নবান্নকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ৮ অগস্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ওই চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা এবং বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন ‘নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা ইআরও) এবং দু’জন ‘সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা এইআরও)। এই পদক্ষেপ করার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেবেন না তিনি। বলেন, ‘‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট (শাস্তি) হতে দেব না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি। তা সত্ত্বেও কমিশন অতিসক্রিয়। এখন থেকেই সাসপেন্ড করতে শুরু করেছে।

Advertisement

কমিশনের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, আপাতত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের ‘সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (এইআরও) সুদীপ্ত দাস এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ সুরজিৎ হালদারকে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলেও কমিশনকে জানিয়ে দেয় নবান্ন। ১৩ অগস্ট মুখ্য সচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন। কমিশনের ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যান পন্থ। সেখানে ঘণ্টাখানেক ছিলেন মনোজ। কী কথা হয়, তা নিয়ে যদিও স্পষ্ট করে তিনি কিছু জানাননি। কমিশনের তরফেও কিছু জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে এখন এফআইআর করা হচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement