রাজ্যের কোনও সংশোধনাগারেরই কোনও বন্দি এ বার পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেননি। জুনের শেষ লগ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছেন চার বন্দি। রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে তাঁদের পরীক্ষা দেওয়ার কথা। একই ভাবে চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন ২১ জন বন্দি।
২০১৩ সালে ১০৬ জন বন্দি জেল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন। তার পর থেকে বন্দিশালায় ক্রমশই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। অবশ্য উত্তীর্ণ বন্দিদের সাফল্যের হার ঈর্ষণীয়। তবে চলতি বছরে সংশোধনাগার থেকে কোনও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নেই বলে কারা দফতর সূত্রের খবর।
জন্মের শংসাপত্র বাধ্যতামূলক হওয়ার জন্যই কি বোর্ডের পরীক্ষায় বন্দিরা কম বসছেন! কারা দফতরের কোনও কোনও কর্তার বক্তব্য, শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করা একটি কারণ হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরে ঠিকঠাক বলা যাবে।
জুনের শেষে শুরু হচ্ছে মুক্ত বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাতে বসছেন চার জন বন্দি। ২১ জন বন্দি বসবেন উচ্চ মাধ্যমিকে। রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে তিন জন বন্দি মাধ্যমিক এবং ১৯ জন বন্দি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন। এই পরিসংখ্যানে ভর করে কারাকর্তারা বলছেন, ‘‘লেখাপড়ায় আগ্রহ কমলে মুক্ত বিদ্যালয় থেকে কি এত বন্দি পরীক্ষায় বসতেন!’’
বন্দিদের পরীক্ষায় বসার বিষয়ে কারা ও শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে চলেছেন এপিডিআরের রঞ্জিত শূরেরা। মাওবাদী সন্দেহে ধৃত অর্ণব দাম আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে আছেন। তিনি ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিচ্ছেন।
জন্মের শংসাপত্র যাতে বোর্ডের পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না-দাঁড়ায়, তা নিয়ে বন্দিদের সঙ্গে অর্ণব কথা বলতে পারেন বলে দাবি রঞ্জিতবাবুর। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস কোনও মন্তব্য করেননি।