গজলডোবায় কাজ সোমবার থেকেই

শনিবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব গজলডোবায় বৈঠক করেছেন। ঠিক হয়েছে, আপাতত সেচ দফতর পাম্প হাউস, নিকাশি, ছোট বাঁধ এবং কয়েকটি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করবে। আগামী বছরের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও আশা রাজীববাবুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৯:০০
Share:

দু’জনে: গজলডোবায় সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।

জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের বিধি নিষেধের গেরো আর নেই। সোমবার থেকেই গজলডোবায় পর্যটন হাবের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে।

Advertisement

শনিবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব গজলডোবায় বৈঠক করেছেন। ঠিক হয়েছে, আপাতত সেচ দফতর পাম্প হাউস, নিকাশি, ছোট বাঁধ এবং কয়েকটি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করবে। আগামী বছরের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও আশা রাজীববাবুর।

এ দিনের বৈঠকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে প্রকল্পে কী কী কাজ হবে, তা দেখানো হয়। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘এবার কাজে আর দেরি হবে না। সেচ দফতরের প্রশাসনিক অনুমোদন সোমবারই মিলে যাবে বলে আশা করছি। সে দিন থেকেই কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।’’

Advertisement

গজলডোবায় পর্যটন হাবের প্রকল্প ‘ভোরের আলো’ নিয়ে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল আপত্তি জানিয়েছিল। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করে ট্রাইব্যুনাল। রাজ্যের তরফে পুরো প্রকল্পটি বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়, কিছু ক্ষেত্রে রদবদলও হয়। সরকারি তরফে দাবি, তারপরে এখন আর কোনও জটিলতা নেই। ‘ভোরের আলো’ নাম মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া। ২ হাজার একর জমির উপরে এই হাবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। সরকারি তরফে প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজই এ দিন দুই মন্ত্রী পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিক ভাবে নিকাশি, আভ্যন্তরীণ রাস্তা, কটেজ, নানা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সরকারের তরফে তৈরি করে দেওয়া হবে। সেচ মন্ত্রী জানান, প্রকল্পের কাজ এমন ভাবে বিন্যাস করা হয়েছে, যাতে পরিবেশে কোনও কুপ্রভাব না পড়ে। এই এলাকায় প্রচুর পাখি আসে। সে কারণে আরও বেশি গাছ লাগানো হচ্ছে। জলাভূমিও থাকছে।

বেঙ্গল সাফারি থেকে গজলডোবা পর্যন্ত পর্যটকদের সাফারির রাস্তা তৈরির কথা আগেই ঘোষণা হয়েছিল। এ বার গজলডোবার সঙ্গে লাটাগুড়ির সরাসরি যোগাযোগের কাজ দ্রুত শেষ করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, কাগজে-কলমে প্রকল্প তৈরির পরিবর্তে কাজ শুরুতে অগ্রগতি দিতে হবে। সেচমন্ত্রীর দাবি, দ্রুত কাজ শুরুর জন্যই এ দিন উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। সেচ দফতরের কাজের জন্য প্রায় ৫২ কোটি টাকার ছাড়পত্র মিলেছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগোনো যাবে বলে আশা তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন