গডকড়ী বয়কট করতে চলেছেন মমতার শিল্প সম্মেলন। দাবি দিলীপ ঘোষের। —ফাইল চিত্র।
মমতার শিল্প সম্মেলনে আসবেন না গডকড়ী, সম্মেলন বয়কট করবে কেন্দ্রীয় সরকার। জানালেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালনকে ঘিরে শুক্রবার তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে যে ধুন্ধুমার হল, তার প্রতিবাদেই বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী, এমনটাই দাবি দিলীপ ঘোষের।
তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতার জোড়াবাগান এলাকা। রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ। দু’দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির। আর রাজ্য বিজেপির সভাপতি জানিয়েছেন, স্বামীজির জন্মদিন পালনের মতো সম্পূর্ণ এক অরাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়েও যে ভাবে আক্রান্ত হতে হল বিজেপি-কে, তাতে তৃণমূল এবং তৃণমূলের সরকারের সঙ্গে বিজেপি এবং বিজেপির সরকার কোনও সহযোগিতা করবে না।
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বার বার প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করেন। রাজ্য সরকার কোনও ব্যাপারেই কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করে না। বিজেপি কর্মীরা রাজ্যের সর্বত্র তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনের মতো একটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যে ভাবে আক্রমণের মুখে পড়তে হল, তাতে এঁদের সঙ্গে আর কোনও রকম সহযোগিতার প্রশ্নই ওঠে না।’’
আরও পড়ুন: পুলিশকে ধুলো দিয়ে কী ভাবে দিল্লি গেলেন গুরুঙ্গ?
রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, এ দিনের ঘটনা নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব উদ্বিগ্ন। সভাপতি অমিত শাহ নিজে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এ দিনের ঘটনার বিশদ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলেও দিলীপবাবু জানান। এই আক্রমণের প্রতিবাদেই নিতিন গডকড়ী বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: জীবন পূর্ণ হল, ডিলিট নিয়ে বললেন মমতা
গত তিন বার বাংলার শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনে কেন্দ্রের প্রধান দূত হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সঙ্গে গডকড়ীও এসেছিলেন। এ বার জেটলি যে আসবেন না, তা আগেই জানানো হয়েছিল। তবে ১৬ জানুয়ারি নিউ টাউনের কনভেনশন সেন্টারে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের উদ্বোধনে নিতিন গডকড়ী হাজির থাকবেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার তৃণমূল-বিজেপি ধুন্ধুমারের পরে গডকড়ী এই সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে রাজ্য বিজেপির দাবি।