মাফুজা খাতুন। নিজস্ব চিত্র
প্রার্থী ঘোষণা থেকে জনতার রায়— মাফুজা খাতুনকে নিয়ে চমকের অন্ত নেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গিপুরের বিজেপি প্রার্থীর নাম শুনে অবাক হন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। কিন্তু পরে তাঁরা জানতে পারেন, মাফুজাকে প্রার্থী করেছেন খোদ অমিত শাহ।
সিপিএমের এই প্রাক্তন বিধায়কের প্রচার, জনসংযোগের কায়দা দেখে চমকে উঠেছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আর ২৩ মে ফল ঘোষণার পরে দেখা যায়, বিদায়ী সাংসদ কংগ্রেসের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন মাফুজা খাতুন।
সাম্প্রতিক চমক, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মাফুজাকে ফোন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা মাফুজা বলছেন, “প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন এসেছিল। ওঁরা বায়োডাটা জানতে চেয়েছিলেন। আমার বিরুদ্ধে কোনও মামলা আছে কি না তা-ও জানতে চাওয়া হয়।”
জেলা সভাপতি সুজিত দাস বলেন, “অমিত শাহ নিজে আমাদের পাঠানো তালিকা কেটে মাফুজাকে প্রার্থী করেন। ফলে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতাদের নেকনজরে আছেন মাফুজা। জঙ্গিপুরে ৩.১৭ লক্ষ ভোট পেয়ে বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদকে তৃতীয় স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁর এই লড়াকু মনোভাবে খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সম্ভবত সেই কারণেই পিএমও থেকে ফোন এসেছিল।’’
বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সুজিত দাস বলেন, “২০২১ সালেই বিধানসভা নির্বাচন। মাফুজা জিততে না পারলেও তিনি সংখ্যালঘু মুখ ও সুবক্তা। সেই কারণেই মাফুজাকে ফোন করা হয়েছিল।’’