বন্ধ ব্যর্থ করতে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের সামনে তৃণমূল সমর্থকরা। ছবি: বিকাশ মশান।
দেশজুড়ে শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে এ রাজ্যের শিল্পাঞ্চলগুলিতে কার্যত কোনও প্রভাবই পড়ল না। ব্যারাকপুর, আসানসোল-দুর্গাপুর বা হলদিয়া ছবিটা সর্বত্র ছিল একই। কাজ হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মেই। শ্রমিকদের উপস্থিতির হারও ছিল একেবারেই স্বাভাবিক।
প্রথম থেকেই রাজ্যে এ দিনের ধর্মঘটকে ব্যর্থ করার জন্য ডাক দিয়ে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যকে সচল রাখতে রাজ্যের সর্বত্র পুলিশকে সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে এ দিন। ট্রেন-বাস ও অন্যান্য যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সরকারি অফিসগুলিতেও হাজিরা ছিল প্রায় অন্যান্য দিনের মতোই। তবে স্কুল-কলেজগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের তেমন একটা উপস্থিতি চোখে পড়েনি। সব মিলিয়ে সাধারণ ধর্মঘটের প্রভাব স্বাভাবিক জীবনে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেই দাবি রাজ্য সরকারের।
যাদের জন্যে এ দিনের ধর্মঘট বলে দাবি ট্রেড ইউনিয়নগুলির, রাজ্যের শিল্পাঞ্চলগুলিতে সেই শ্রমিকরাই আজ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সব কলকারখানায় অন্যান্য দিনের মতোই কাজ হয়েছে। নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, টিটাগড়, ব্যারাকপুর— সর্বত্র শ্রমিকেরা যথা সময়ে হাজির হয়েছেন। দু-একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া এই শিল্পাঞ্চলে এ দিনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।
দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলেও বন্ধের প্রভাব পড়েনি বললেই চলে। সরকারি অফিস-কাছারি খোলা রয়েছে। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, দুর্গাপুর অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট-সহ অন্যান্য কারখানাগুলিতে কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়েছে। আইএনটিইউসি এবং সিটু পিকেটিং করলেও বিশেষ প্রভাব চোখে পড়েনি। বেসরকারি অফিসগুলিতে হাজিরা ছিল ৫০-৬০ শতাংশ। অন্য দিকে, আসানসোলের ছবিটাও প্রায় এক। কারখানাগুলিতে উত্পাদন স্বাভাবিক ভাবেই হচ্ছে। এমনকী এখানে কোনও বন্ধ সমর্থককেও দেখা যায়নি। যাঁদের বাড়ি দূরে, তাঁরা আগের দিনই অফিস এবং কারখানাগুলিতে এসে হাজির হয়েছেন। ফলে কাজ অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছন্দেই হয়েছে। তবে আসানসোল বাজারে এই বন্ধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। রাস্তায় সরকারি ও বেসরকারি বাস স্বাভাবিক ভাবেই চলছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় লোক কিছুটা রাস্তায় কম চোখে পড়লেও নিত্যযাত্রীদের ভিড়ে কিন্তু কোনও খামতি পড়েনি।
রাজ্যের বাকি শিল্পাঞ্চলগুলির মতো হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের ছবিটাও প্রায় এক।
আরও খবর...
সচল রাজ্য, সজাগ পুলিশ, তবে রাস্তায় লোক কম