গনি কলেজে পড়ুয়াদের মারের নালিশ

অভিযোগ, বুধবার বিকেলে কলেজের আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বি-ব্লকে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ গেটেই বাধা দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে পড়ুয়াদের বচসা বাধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরাতন মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৯
Share:

অসুস্থ: হাসপাতালে ছাত্রী নুরজাহান বানু। নিজস্ব চিত্র

ফের অশান্তি মালদহের গনি খান চৌধুরী নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (জিকেসিআইইটি)। এবারও ফের গোলমাল আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে মালদহ থানার পুলিশের।

Advertisement

অভিযোগ, বুধবার বিকেলে কলেজের আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বি-ব্লকে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ গেটেই বাধা দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে পড়ুয়াদের বচসা বাধে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, সেইসময় এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার কলেজের সিভিল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া নুরজাহান বানুকে ফেলে মারধর করেন। তাতে ছাত্রীটি সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পুলিশ এ দিন পড়ুয়াদের কলেজ চত্বর থেকে বের করে দেয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। পাল্টা পুলিশের অভিযোগ, পড়ুয়ারাই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশকে গালিগালাজ করেন। কলেজের সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রজ্জাক জানিয়েছেন, বি-ব্লকের ভেতরে কোনও গোলমাল হয়নি। বাইরে কী হয়েছে তা বলতে পারব না। জিকেসিআইইটিতে সিভিল ও কম্পিউটার সায়েন্স কোর্সের অনুমোদনহীনতা-সহ একাধিক ইস্যুতে কলেজের পড়ুয়ারা মালদহ ও কলকাতা একযোগে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কলেজে আন্দোলন দু’মাসের বেশি ও কলকাতার আকাদেমি চত্বরে আন্দোলন দেড় মাসের বেশি গড়িয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে গেজেট নোটিফেকেশন করে বেশ কিছু সমস্যা মেটানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, সেই নোটিফিকেশনের কিছু তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। এ ছাড়া কলেজের পাশ করা পড়ুয়াদের সার্টিফিকেট কে দেবে বা কীভাবে দেওয়া হবে, কবে হবে সেসব বিষয় সেখানে স্পষ্ট নয়। এ দিকে কলেজে সিভিল ও কম্পিউটার সায়েন্স পড়ানো হচ্ছে অথচ তার কোনও অনুমোদনই নেই। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বি ব্লকের গেট জুড়ে মোতায়েন থাকা মালদহ থানার পুলিশ গেটেই তাঁদের আটকে দেয়। ধাক্কাধাক্কি করে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেসময়ই এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার এসে সহপাঠী নুরজাহানকে মেঝেতে ফেলে মারধর করে। সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নুরজাহানের অভিযোগ, মহিলা সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁকে মারধর করেছে।

মালদহ থানার এক পুলিশ অফিসার অবশ্য বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তাঁর অভিযোগ, পড়ুয়ারা এ দিন জোর করে বি-ব্লকে তালা ঝোলাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ বাধা দেয়। সসেময় ওদের নিজেদের মধ্যেই বচসা হয়। এ ছাড়া মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারদের পড়ুয়ারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছুই হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন