প্রতীকী ছবি
রাজ্যে বন্ধ হয়ে গেল আর একটা জুটমিল। তাও আবার পুজোর মধ্যেই। চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে গত কয়েক দিন ধরেই কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উপর বাড়তি কাজের চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। একজন শ্রমিককে তিনটে মেশিনে কাজ করানোর সিদ্ধান্তে অনড় থাকে জুটমিল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কর্তৃপক্ষ শ্রমিক প্রতি দুটো মেশিনে কাজ করিয়ে নিত। এখন তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছিল তিনটে। এর ফলে তৈরি হয় প্রবল শ্রমিক অসন্তোষ। শ্রমিকদের বক্তব্য, প্রত্যেক শ্রমিককে তিনটে মেশিনে কাজ করতে গেলে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে দন্দ্ব চলতে থাকে।
শনিবার অর্থাৎ সপ্তমীর দিন শ্রমিকরা দরবার করেন কারখানার জেনারেল ম্যানেজারের কাছে। তাঁদের দাবি ম্যানেজার মানতে না চাইলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। উত্তেজিত শ্রমিকরা লোহার রড নিয়ে তাড়া করে ম্যানেজার তন্ময় বেরাকে। রডের আঘাতে মাথায় চোট পান তন্ময় বাবু। এর পর তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চন্দননগর হাসপাতালে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি নার্সিংহোমে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ৭ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এবং শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানার গেটে রবিবার ভোরে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয়। ফলে অষ্টমীর সকালেই বেকার হতে হল প্রায় ৪০০০ শ্রমিককে। তাদের দাবি এই অস্থির পরিস্থিতির জন্য দায়ী কেবলমাত্র কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং তাদের খামখেয়ালিপনা। অন্য দিকে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ শ্রমিক অসন্তোষকেই দোষী করছেন।
আরও পড়ুন- শান্তির বার্তা জঙ্গলমহলের পাতালদুর্গার
বাঙালির দুর্গাপুজো, নতুন রূপে নতুন সাজে
আরও পড়ুন- অষ্টমীতে ঝলমলে শুরু, বেলা বাড়তেই মেঘ বৃষ্টির উত্পাত