আক্রমণের নিশানায় পুলিশ, তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে স্বাগত মোর্চার

মিরিকের গয়াবাড়ি রোডে আইপিএস অফিসার গৌরব লালের গাড়ি আটকে খুকুরি, লাঠি নিয়ে হামলা হয়েছে। হামলায় পুলিশ কর্তার এক দেহরক্ষীর হাত কেটে গিয়েছে। ৩টি গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কনভয়ের পুলিশ অফিসার-কর্মীরা লাঠি-বন্দুক-রিভলবার উঁচিয়ে তাড়া করলে হামলাকারীরা পাহাড়ি খাদ বেয়ে জঙ্গলের গভীর চলে যায়।

Advertisement

প্রতিভা গিরি

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৩:২১
Share:

বিমল গুরুঙ্গ। ছবি: এএফপি।

শান্তি ফেরাতে দুই শীর্ষ আদালতের রায় মেনে পাহাড়ে আরও ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কিন্তু, সরকারি সম্পত্তি আগুন দিয়ে পোড়ানো ও রাজ্য পুলিশের উপরে হামলার পথ থেকে যে তারা এখনই হটবে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিল। শনিবার কালিম্পঙের তাকদায় একটি পঞ্চায়েত অফিস পোড়ানো হয়েছে। মিরিকের গয়াবাড়ি রোডে আইপিএস অফিসার গৌরব লালের গাড়ি আটকে খুকুরি, লাঠি নিয়ে হামলা হয়েছে। হামলায় পুলিশ কর্তার এক দেহরক্ষীর হাত কেটে গিয়েছে। ৩টি গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কনভয়ের পুলিশ অফিসার-কর্মীরা লাঠি-বন্দুক-রিভলবার উঁচিয়ে তাড়া করলে হামলাকারীরা পাহাড়ি খাদ বেয়ে জঙ্গলের গভীর চলে যায়।

Advertisement

এখানেই শেষ নয়, দার্জিলিঙের পাতলেবাসের অফিস থেকে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘সবে অন্তিম লড়াইয়ের মহড়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনে লড়াই আরও ভয়ঙ্কর হবে। সে জন্য প্রস্তুত হচ্ছে গোটা পাহাড় ও তরাই-ডুয়ার্স।’’ তাতেই পাহাড়-সমতলে ফের উত্তেজনা বেড়েছে। কারণ, এ দিনই দিনভর ডুয়ার্সের বীরপাড়ায় ভুটানগামী রাজ্য সড়ক আটকে রাখে মোর্চা। ফলে, সারা দিনে ভুটানে যাতায়াত করতে পারেনি কোনও যানবাহন। শিলিগুড়ির কাছে শালুগাড়া, সুকনা, শালবাড়িতে কয়েক দফায় মিছিল হয়। মোর্চার সমর্থকেরা জানান, তারা শীঘ্রই শিলিগুড়িতে ঢুকে মিছিলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আরও পড়ুন:রায়গঞ্জে বাম হাতই দেখছে নবান্ন

Advertisement

ঘটনাচক্রে, এ দিন সকালে দার্জিলিঙের চকবাজারে দলের বিশাল মিছিলের পরে মোর্চার যুব সভাপতি প্রকাশ গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘শীর্ষ আদালতের রায়কে আমরা সম্মান করি। পাহাড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে রাজ্য যে বাড়তি বাহিনী পাঠাবে, তারা বাড়াবাড়ি করলে সংঘাতও বাড়বে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরে কেন্দ্রের কাছে থেকে ভাল খবর মিলবে বলে আমরা আশা করছি।’’ তবে এ দিন গয়াবাড়ির কাছে পুলিশ কর্তার হামলার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নন বলে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে লড়াইয়ে জোর দিয়েছেন। তা হলে রোজই হামলা, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে কেন, সেই প্রশ্নে মোর্চা নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

মোর্চার অন্দরের খবর, দলের কট্টরপন্থীরা রোজই হামলা, আগুন লাগিয়ে খবরের শিরোনামে থাকতে মরিয়া। যেমন, শিলিগুড়ির ডিসি (ইস্ট) মিরিক থেকে ফেরার পথে দেখেন গাছের গুঁড়ি-পাথর দিয়ে রাস্তা বন্ধ। ডিসি বলেন, ‘‘আচমকা হামলা যে হবে আমরাও ভাবতে পারিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন