পঞ্চায়েতের ছবি ‘ভয়াবহ,’ বলল গৌড়া কমিটি

বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটকে হিংসার যা বিবরণ তারা শুনল ও দেখল, তা এক কথায় ‘ভয়াবহ’ বলে জানাল গৌড়া কমিটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৪২
Share:

প্রাক্তন বিচারপতি ভেঙ্কট গোপাল গৌড়া।ফাইল চিত্র

বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটকে হিংসার যা বিবরণ তারা শুনল ও দেখল, তা এক কথায় ‘ভয়াবহ’ বলে জানাল গৌড়া কমিটি। তিন সর্বভারতীয় দল কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এবং একাধিক আ়়ঞ্চলিক দল, তিন জেলায় ঘুরে নির্বাচনী হিংসায় আক্রান্ত মানুষ, নাম তুলে নিতে বাধ্য হওয়া প্রার্থী এবং জিতেও হেনস্থার শিকার হওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পরে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ভেঙ্কট গোপাল গৌড়ার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি সোমবার তাদের ওই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে খবর পাঠানো সত্ত্বেও তাঁদের তরফে কেউ কমিটির সামনে আসেননি। আসেনি তৃণমূলও। গৌড়া জানান, যা যা অভিযোগ এবং ভিডিও ক্লিপ তাঁরা পেয়েছেন, সে সব নিয়ে ফের মুখ্যসচিব ও কমিশনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে। তাঁরা জবাব না দিলে কমিটি তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করবে। ওই রিপোর্ট নিয়ে সারা দেশে প্রচার চালাবে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’। তৃণমূল অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছে, কমিটির বক্তব্য ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।

Advertisement

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরে এ দিন হুগলিতে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির তিন সদস্য গৌড়া, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেন ও যোজনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য সাইদা হামিদ। কলকাতায় ফিরে অর্ধেন্দুবাবু বলেন, ‘‘যা দেখলাম, তা ভয়াবহ! বাংলার লোক হিসেবে রাজ্যের কিছু খবর আমি রাখি। কিন্তু কমিটির বাকি দুই সদস্য আক্রান্তদের কথা শুনে খুবই বিচলিত হয়েছেন।’’ কিন্তু ৩৪% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়কে সুপ্রিম কোর্ট খারিজ না করার পরে এই কমিটির ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ আর কী হবে? গৌড়া বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হিংসার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে মন্তব্য করা হয়নি। আমরা নিরপেক্ষ ভাবে একটি রিপোর্ট তৈরি করব। সারা দেশের মানুষ রিপোর্ট থেকে জানতে পারবেন, বাংলায় স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে কেমন ঘটনা ঘটেছে।’’

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘নির্দিষ্ট কয়েকটা জায়গায় গিয়েই ওঁরা এমন কথা বলছেন। ৩৪% বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিয়ে এত কিছু, তা হলে ত্রিপুরা বা জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছেন না কেন? রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কথা বললে এই ধরনের কমিটির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস থাকবে না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন