Bankura Bank Fraud Case

ফোন হারাতেই প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খোয়ালেন সরকারি কর্মী! দেড়শো টাকা পড়ে অ্যাকাউন্টে, মাথায় হাত

বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের দিবাকরবাটি গ্রামের বাসিন্দা সুধাংশু দাস ইন্দাসের রেজিস্ট্রি অফিসের হেডক্লার্ক। গত ১৫ মে নিজের মোবাইল হারিয়ে ফেলেন সুধাংশু। সে নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৫ ১৩:১২
Share:

সঞ্চয়ের টাকা খুইয়ে ভেঙে পড়েছেন সরকারি কর্মী সুধাংশু দাস। —নিজস্ব চিত্র।

অবসর জীবনের জন্য তিলে তিলে জমানো টাকা খোয়ালেন নিমেষে। মোবাইল হারানোর পর বাঁকুড়ার এক সরকারি কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ। যদিও ওই সরকারি কর্মী কখনও কোনও অনলাইনে অর্থের লেনদেন করেননি বলে দাবি। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের দিবাকরবাটি গ্রামের বাসিন্দা সুধাংশু দাস ইন্দাসের রেজিস্ট্রি অফিসের হেডক্লার্ক। গত ১৫ মে নিজের মোবাইল হারিয়ে ফেলেন সুধাংশু। সে নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিছু ক্ষণ পরে একই নম্বরের সিম কার্ড তোলেন এবং অন্য একটি মোবাইল ব্যবহার করছেন। ওই সরকারি কর্মীর অভিযোগ, গত শুক্রবার ফোনে একটি মেসেজ পেয়ে তাঁর সন্দেহ হয়। যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার স্থানীয় শাখায় যোগাযোগ করেন সুধাংশু। পাসবুক আপডেট করাতে গিয়ে চমকে যান তিনি। দেখেন, গত ১৫ মে থেকে ১৯ মে, এই পাঁচ দিনে দফায় দফায় অনলাইন ট্রানজ়াকশনে ৩ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে!

এখন সুধাংশুর অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে দেড়শো টাকারও কম। চাকরিজীবনের শেষে এসে সঞ্চয়ের অর্থ খুইয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন প্রৌঢ়। তিনি বলেন, ‘‘মাসিক বেতন থেকে অল্প অল্প টাকা বাঁচিয়ে অবসরজীবনের জন্য সঞ্চয় করছিলাম। প্রায় চার লক্ষ টাকা জমা হয়েছিল। অনলাইন লেনদেন ভাল বুঝি না বলে কখনও অনলাইন ট্রানজ়াকশন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতাম না। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না।’’

Advertisement

টাকা খুইয়ে ইন্দাস থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সাইবার ক্রাইম পোর্টালে অভিযোগ জমা করেছেন সুধাংশু। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ দিনে দফায় দফায় টাকা তোলা হলেও আমার ফোনে মেসেজ আসেনি। ব্যাঙ্কের পাসবুক আপডেট করাতে গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি নজরে আসে। তার পরেই থানার দ্বারস্থ হই। কেন্দ্রীয় পোর্টালেও অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার টাকাটা যেন পেয়ে যাই, এটাই কামনা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement