Partha Chatterjee

পার্থের বিরুদ্ধে মামলা শুরু নিয়ে রাজ্যপালের অনুমতি নিলেও স্পিকারকে জানাল না সিবিআই

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআইকে মামলা শুরুর অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও বিধানসভার স্পিকারের থেকে কোনও অনুমতি চায়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৭:০২
Share:

(বাঁ দিক থেকে) সিভি আনন্দ বোস, পার্থ চট্টোপাধ্যায়,বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআইকে মামলা শুরুর অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে কোনও অনুমতি চায়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। কিন্তু সেই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল।

Advertisement

তাই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে রাজ্যপাল বোসের সম্মতি চাওয়া হয়েছিল। রাজভবন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে নিজের সম্মতির কথা সিবিআইকে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। যে হেতু মন্ত্রী হিসাবে পার্থের নিয়োগকর্তা ছিলেন রাজ্যপাল, তাই এ ক্ষেত্রে তাঁর অনুমতি আবশ্যিক ছিল বলেই জানাচ্ছে রাজভবনের একটি সূত্র। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারা মেনে নিজের সাংবিধানিক ক্ষমতার ব্যবহার করে রাজ্যপাল এই অনুমতি দিয়েছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, এ ক্ষেত্রে সিবিআই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি না নেওয়ায়। ক্ষোভের সুরে স্পিকার বিমান বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে আমার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ওরা (সিবিআই) তেমনটা করেনি। আগেও ওরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই বিষয়টি নতুন কিছু নয়।’’

প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে ইডি গ্রেফতার করার সময়ও স্পিকারকে না জানানোর অভিযোগ উঠেছিল। একই অভিযোগ উঠেছিল পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারির ক্ষেত্রেও।

Advertisement

২০২১ সালের ১৭ মে নারদ মামলায় অধুনা প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে বিধানসভার স্পিকারকে এড়িয়ে সেই গ্রেফতারি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন বিমান। পরে এই সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকদের স্পিকার বিমান বিধানসভায় ডেকে পাঠালেও, তাঁদের কোনও প্রতিনিধি আসেননি। বরং চিঠি দিয়েই নিজেদের দায় সেরেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।

এ বার আবার পার্থের বিরুদ্ধে মামলা শুরুর অনুমতি নিয়ে একই অভিযোগ উঠল। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজভবনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে নবান্নের। সম্প্রতি আবার রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান। তাই মনে করা হচ্ছে, পার্থের বিষয়ে সিবিআইকে মামলা শুরুর অনুমতি দেওয়ায় রাজ্যপালের সঙ্গে আবারও শাসকদলের নতুন করে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন