Jagdeep Dhankhar

আবার বিধানসভায় রাজ্যপাল, এ বারও সাক্ষাৎ এড়াল সরকার, দেখা মিলল না স্পিকারেরও

বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবার ফের রাজ্য বিধানসভায় গেলেন ধনখড়। কিন্তু এ দিনও সরকার পক্ষের কেউ দেখা করলেন না তাঁর সঙ্গে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হল না স্পিকারেরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:১৪
Share:

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ফাইল চিত্র।

জন্মদিনে বিআর অম্বেডকরকে শ্রদ্ধা জানানোর অবকাশেও দূরত্ব বহাল রইল রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে। বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবার ফের রাজ্য বিধানসভায় গেলেন ধনখড়। কিন্তু এ দিনও সরকার পক্ষের কেউ দেখা করলেন না তাঁর সঙ্গে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হল না স্পিকারেরও। দেখা যে করতে পারবেন না, সে কথা স্পিকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বললেন রাজ্যপাল।

Advertisement

অম্বেডকরের মূর্তিতে ফুল দেওয়ার জন্য শুক্রবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে রাজ্যপাল যে বিধানসভায় যাবেন, সে কথা বৃহস্পতিবারই জানানো হয়েছিল রাজভবনের তরফ থেকে। কিন্তু বিধানসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক থাকায় ওই সময়ে স্পিকার দেখা করতে পারবেন না রাজ্যপালের সঙ্গে— এ কথাও বৃহস্পতিবারাই বিধানসভার সচিবালয় জানিয়ে দিয়েছিল রাজভবনকে।

তাতে অবশ্য রাজ্যপাল নিজের পরিকল্পনা বদলাননি। এ দিন নির্ধারিত সময়েই তিনি বিধানসভায় পৌঁছন। তবে বৃহস্পতিবার যে ভাবে প্রথমে বন্ধ গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল, এ দিন আর তা হয়নি। বিধানসভার আধিকারিকরা তাঁকে স্বাগত জানান। স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন বৈষ্ণবনগর এবং হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার এবং জুয়েল মুর্মু। ছিলেন বড়জোড়ার বাম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তীও।

Advertisement

আরও পড়ুন-টাকা লোপাট এ বার বারাসতের এটিএমে

আরও পড়ুন-আইন হাতে তোলা যায় না, তেলঙ্গানার বিতর্কিত এনকাউন্টার নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

স্পিকার বা সরকার পক্ষের কেউ কেন তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন না, এ দিন আর তা নিয়ে সে ভাবে সুর চড়াননি রাজ্যপাল। তবে পরিস্থিতি যে আগের দু’দিনের চেয়ে খুব একটা আলাদা ছিল, তা কিন্তু নয়। বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি হাজির হয়েছিলেন আচমকাই। কর্তৃপক্ষের দেখা পাননি। সে দিনই জানিয়েছিলেন যে, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় যাবেন। কিন্তু বিধানসভায় সরকার পক্ষের কারও দেখা পাওয়া তো দূরের কথা, প্রথমে গেটটাই খোলা পাননি। শুক্রবার গেটের সামনে আর অপেক্ষা করতে হল না রাজ্যপালকে। আধিকারিকরা তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাগতও জানালেন। কিন্তু সরকার পক্ষ এ দিনও তাঁকে এড়িয়েই গেল।

রাজ্যপাল এ দিন বলেন, ‘‘যা কালকে হয়েছে, তাতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত, দুঃখিত। এটা হওয়া উচিত ছিল না।’’ তবে রাজ্য সরকার এবং রাজভবনের মধ্যে স‌ংঘাত চলতে থাক, এমনটা তিনি চান না— এই বার্তাও এ দিন রাজ্যপাল দিয়েছেন। আলোচনায় সব সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘আমি যে কোনও জায়গায় গিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’’ নবান্ন হোক বা রাজভবন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হোক বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থির করা অন্য কোনও স্থান— যেখানে বলা হবে, সেখানে গিয়ে তিনি আলোচনায় বসতে তৈরি। এ দিন এমনই জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার তাঁর ফোনে কথা হয়েছে বলেও রাজ্যপাল এ দিন জানিয়েছেন। কিন্তু তার পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে রাজ্যপাল জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন