Dakshin Dinajpur

কোন ধারায় মেন্টর নিয়োগ, জানাতে নির্দেশ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা ও বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৫৩
Share:

ফাইল চিত্র

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে ‘মেন্টর’ ও ‘কো-মেন্টর’ নিয়োগ নিয়ে জেলাশাসককে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিংহ। আইন মেনে নিয়োগ হয়ে থাকলে তা পঞ্চায়েত আইনের কোন ধারায় হয়েছে, আদালতে তা জানাতে হবে জেলাশাসককে।

Advertisement

সূত্রের খবর, ওই জেলা পরিষদে ১৮ সদস্য তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হন। পরে সভাধিপতি লিপিকা রায়-সহ পরিষদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন। লিপিকাদেবী সভাধিপতি থেকে যান। পঞ্চায়েত আইনে দু’বছরের আগে কোনও জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে অপসারিত করা যায় না। প্রশাসনের এক সূত্রের খবর, সভাধিপতির ক্ষমতা ‘খর্ব’ করতে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের সচিব জেলা পরিষদে এক জন মেন্টর ও কো-মেন্টর নিয়োগ করেন। মেন্টর হন জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস ওরফে সোনা পাল, কো-মেন্টর হন মৌমিতা মণ্ডল। তাঁদের নিয়োগপত্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজ্যের নানা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ কী ভাবে করা হবে তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ওই দুই পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।

ওই দুই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন লিপিকা রায়-সহ চার জন। তাঁদের আইনজীবী অমলেশ রায় আদালতে জানান, পঞ্চায়েতের কোনও আইনে মেন্টর ও কো-মেন্টর পদের উল্লেখ রয়েছে তা তাঁর জানা নেই। দু’টি পদই অবৈধ। রাজ্যের পক্ষে কোনও আইনজীবী এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন না।

Advertisement

জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, পঞ্চায়েত দফতরের নির্দেশে মেন্টর ও কো-মেন্টর নিয়োগ করা হয়েছে। বিভাগীয় আদেশের কপিও তাঁর কাছে রয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘উনি (লিপিকা) দলে ফিরে এসেছেন। ৪ সপ্তাহের মধ্যেই মামলা তুলে নেওয়া হবে।’’ অর্পিতা জানান, সেটি সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর নয়, রাজ্যের প্রায় সব জেলা পরিষদেই মেন্টর রয়েছেন।

লিপিকা বলেন, ‘‘দল যা বলবে তা-ই করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন