মাধ্যমিকের আগে বাড়তি উত্তরপত্রও নেন প্রধান শিক্ষক!

যদিও এই বাড়তি উত্তরপত্র নেওয়ার সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের কোনও যোগ আছে কিনা, তা বলতে পারেননি বিশ্বনাথ। শিক্ষকমহলেরও এই ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ধারণা নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৮ ০২:২২
Share:

প্রতিবাদ: ময়নাগুড়িতে হরিদয়াল রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার। ইনসেটে প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত শুরু হয়েছে ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়ের বিরুদ্ধে। এ বারে ময়নাগুড়ির দায়িত্বে থাকা স্কুল পরিদর্শক বিশ্বনাথ ভৌমিকের আর এক অভিযোগ, মাধ্যমিকের আগে বাড়তি উত্তরপত্র নিয়েছিলেন হরিদয়াল। যদিও এই অভিযোগের সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের কোনও যোগ আছে কিনা, তা বিশ্বনাথ বলতে পারেননি।

Advertisement

বিশ্বনাথের দাবি, মাধ্যমিকের আগে হরিদয়াল চার প্যাকেট উত্তরপত্র নিয়েছিলেন৷ এক একটা প্যাকেটে সাতশো থেকে সাড়ে সাতশো উত্তরপত্র থাকে৷ বিশ্বনাথের অভিযোগ, ‘‘প্রথম কয়েকটি পরীক্ষার পর হরিদয়াল দাবি করতে থাকেন, তাঁকে তিন প্যাকেট উত্তরপত্র দেওয়া হয়েছে৷ অথচ, স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের কাছে দুই হাজার পাঁচশটি উত্তরপত্র রয়েছে৷ হিসেব অনুযায়ী তিনটি প্যাকেটে এত উত্তরপত্র থাকে না৷’’ এ দিকে চার প্যাকেটের হিসেব ধরলে উত্তরপত্রের সংখ্যা আরও বেশি হবে। এর জেরেই সন্দেহ তৈরি হয় বলে দাবি।

যদিও এই বাড়তি উত্তরপত্র নেওয়ার সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের কোনও যোগ আছে কিনা, তা বলতে পারেননি বিশ্বনাথ। শিক্ষকমহলেরও এই ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ধারণা নেই। আবার বিশ্বনাথের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের অনেকেই বলছেন, প্রথমেই ধন্দ তৈরি হলে তিনি পর্ষদকে জানাননি কেন? তা হলে আরও আগে পদক্ষেপ করা সম্ভব হত। বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘ওঁকে নিয়ে প্রথম সন্দেহ হয়৷ কিন্তু পরীক্ষায় যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত সাড়ে চারশো উত্তরপত্র তাঁকে দেওয়া হয়৷ যদিও আমি তখনই সিদ্ধান্ত নিই, এ বারে প্রধান শিক্ষকের উপরে নজরদাবি বাড়াতে হবে।’’ হরিদয়াল সব অভিযোগই মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ঠিক হলে কাড়া হবে তাঁর শিক্ষারত্ন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement