Ambulance Facility in Bengal

অ্যাম্বুল্যান্সের দৌরাত্ম্যে রাশ টানছে স্বাস্থ্য কমিশন, কঠিন গাইডলাইন তৈরির ভাবনা

অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া কত হওয়া উচিত, তা কমিশনের তরফে আগেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বেশি ভাড়া চেয়ে রোগী ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য কমিশন যে বিষয়ে তৎপর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৩ ২১:৪৮
Share:

অ্যাম্বুল্যান্স সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী স্বাস্থ্য কমিশন। ফাইল চিত্র।

রাজ্য জুড়ে অ্যাম্বুল্যান্সের সমস্যার সমাধানের ভাবনায় স্বাস্থ্য কমিশন। তার পাশে আছে নবান্নও। কমিশনের সঙ্গে বুধবার একটি বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সেখানেই অ্যাম্বুল্যান্সের দৌরাত্ম্য, তার জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর।

Advertisement

রাজ্যে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার বিরুদ্ধে হামেশাই অভিযোগ ওঠে, তারা রোগীকে ফিরিয়ে দেন। রোগী পরিবহণের জন্য মোটা টাকা দাবি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া হয় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। কিছু দিন আগে যার জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছে কালিয়াগঞ্জে। সন্তানের মৃত্যুর পর অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করতে না পেরে সেই দেহ ব্যাগে ভরে হাসপাতাল থেকে ২০০ কিমি পাড়ি দিয়েছিলেন অসীম দেবশর্মা। যে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। এ বার অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে স্বাস্থ্য কমিশন।

অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া কত হওয়া উচিত, তা কমিশনের তরফে আগেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ২৫ টাকা এবং সাধারণ অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ২০ টাকা করে নিতে হবে। এ ছাড়া, করোনা রোগী থাকলে পরিচ্ছন্নতার জন্য ৩০০ টাকা এবং অক্সিজেন পরিষেবার জন্য ঘণ্টা প্রতি ৩০০ টাকা করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

Advertisement

এই নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা বাড়তি টাকা চান বলে অভিযোগ। সেই প্রবণতা কী ভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে বুধবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমিশনকে সরকারের তরফেও সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব। কমিশনের পরিকল্পনা, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার বিষয়ে তারা রাজ্যের পরিবহণ দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে। যৌথ ভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে।

বুধবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এবং সেই সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও। এই কার্ডে বর্তমানে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। তবে অন্য ভাবে রোগী এবং তার পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পরিবারকে এই কার্ডের অনিশ্চয়তার ভয় দেখানো হচ্ছে। সে ক্ষেত্রেও কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবছে স্বাস্থ্য কমিশন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে একটি সামগ্রিক গাইডলাইন তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন