Health Commission

এ বার ‘দুয়ারে’ স্বাস্থ্য কমিশন! চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ শুনতে জেলায় জেলায় ঘুরবেন কর্তারা

সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরানো হলে অথবা উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা না পেলে কলসেন্টারের মাধ্যমে কমিশনের কাছে অভিযোগ পৌঁছে দিতে পারবেন রোগী বা তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১৩
Share:

স্বাস্থ্যসাথী-সহ সমস্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে বিভিন্ন জেলায় রোগীদের দোরে দোরে পৌঁছ যাবেন কমিশনের কর্তারা। প্রতীকী ছবি।

চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে যাবতীয় অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে এ বার ‘দুয়ারে’ স্বাস্থ্য কমিশন। কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে কলকাতায় তাদের অফিসে ছুটে আসতে হবে না জেলার কোনও রোগী বা তাঁর পরিবার-পরিজনদের। উল্টে, অভিযোগের সমাধা করতে জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াবেন কমিশনের কর্তারা।

Advertisement

ফোন করে চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর বন্দোবস্ত করতে শীঘ্রই একটি কলসেন্টার তৈরি করবে কমিশন। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে রোগী ফেরানো হলে অথবা উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা না পেলে ওই কলসেন্টারের মাধ্যমে কমিশনের কাছে নিজেদের অভিযোগ পৌঁছে দিতে পারবেন রোগী বা তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা।

স্বাস্থ্যসাথী-সহ সমস্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে বিভিন্ন জেলায় রোগীদের দোরে দোরে পৌঁছে যাবেন কমিশনের কর্তারা। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। রাজ্য জুড়ে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ল্যাব মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য মোট সাড়ে ৫ হাজার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ওই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলি ঠিক ভাবে কাজ করছে কি না, তাতেও নজরদারি চালাবে কমিশন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবার সুষ্ঠু সমন্বয় ঘটাতেও সক্রিয় কমিশনের কর্তারা। ছোট বেসরকারি হাসপাতালগুলির বাইরে কমিশনের নির্দেশিকা ফ্লেক্স আকারে লাগানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পরিদর্শন করবেন কমিশনের কর্তারা।

Advertisement

চিকিৎসাজনিত অভিযোগের পর অভিযোগকারীরা কমিশনের রায়ে সুফল পেয়েছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে চায় কমিশন। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি মালদহের চাঁচলে কমিশনের প্রথম বৈঠক হবে। এই জেলায় এর আগে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে ৬টি অভিযোগের রায়দান করেছে কমিশন। সেই অভিযোগকারীরা আর্থিক ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি, এ বিষয়ে কোনও খামতি থাকলে তার নিষ্পত্তিও করা হবে। অন্য দিকে, মালদহের দিনাজপুরের বেসরকারি হাসপাতাল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করে পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ কমাতে সম্ভাব্য পদক্ষেপের পথও খুঁজবে কমিশন। মালদহের পর পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে যাবে তারা।

স্বাস্থ্য পরিষেবার নিরিখে রাজ্যকে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ, এই দু’টি ভাগে ভাগ করে সমস্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) নিয়ে বৈঠকে বসবেন কমিশনে কর্তারা। দক্ষিণবঙ্গের জন্য ঝাড়গ্রামে ২ এবং ৩ মার্চ বৈঠক হবে। এর পর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবে কমিশন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন