প্রতীকী ছবি।
কলেজ ভবনের পরিকাঠামো সংস্কার থেকে শুরু করে ভবনকে পুরোদস্তুর সিসিটিভি-র আওতায় নিয়ে আসা, কয়েক বছরে এ সবই হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি কলেজে। এ বারে কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা চালু করতে চলেছেন। কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৮ অক্টোবর কলেজ ৬৯ বছরে পা রাখতে চলেছে। সে দিন থেকে চালু হবে এই স্বাস্থ্য বিমা।
এর আগে কলেজের অশিক্ষক কর্মীদের এমন বিমার আওতায় আনা হয়েছে। তবে পড়ুয়াদের জন্য স্বাস্থ্য বিমার ব্যবস্থা এই প্রথম। কলেজে প্রথম থেকে তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী আছেন। সাধারণ কোর্স ছাড়া নানা বৃত্তিমুখী কোর্স রয়েছে। এ বার পড়ানো শুরু হয়েছে স্নাতকোত্তর কোর্সও। আপাতত ঠিক হয়েছে, প্রত্যেকে বছরে ১ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা পাবেন। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনাজনিত বিমাও থাকবে। আবার কোর্স চলাকালীন কারও অভিভাবক বিয়োগ হলে, সেই ছাত্র বা ছাত্রী এককালীন ১ লক্ষ টাকা পাবেন। এর পাশাপাশি বছরে এক বার বাইরে ডাক্তার দেখানোর জন্য আড়াই হাজার টাকা করেও দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। ছাত্রছাত্রীদের বয়স ১৭ বছর থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। সেই হিসেব ধরে প্রত্যেকের জন্য ১৪২-১৪৫ টাকা করে বিমার প্রিমিয়াম দিতে হবে কলেজকে। যার জন্য বছরে খরচ হবে সাড়ে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, যে তহবিল থেকে সিসিটিভি কেনা বা ভবন রং করার টাকা আসে, সেই উন্নয়ন তহবিল থেকেই দেওয়া হবে এই বিমার প্রিমিয়াম। একটি বেসরকারি বিমা সংস্থা ছাত্রদের জন্য গ্রুপ ইনসিওরেন্স চালু করেছে। কলেজ সূত্রে বলা হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে সম্ভবত কয়েকটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এই বিমা চালু করেছে। তবে উত্তরবঙ্গে এমন উদ্যোগ এই প্রথম বলেই তাঁদের দাবি।
কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কর বলেন, ‘‘আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই এই বিমার ব্যবস্থা। স্থায়ী কর্মী বা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তো সরকারি স্তরে ব্যবস্থা থাকে। ছাত্রছাত্রীদের বা অশিক্ষক কর্মীদের থাকে না। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত।’’ কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত দাস বলেন, ‘‘বার্ষিক বিমা ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের জন্য এককালীন আউটডোরে চিকিৎসক দেখানো এবং চিকিৎসার সুযোগও রাখা হয়েছে।’’ কলেজের ছাত্র সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলেজ যে শুধু আমাদের পড়াশুনো নয়, স্বাস্থ্যের দিকটি নিয়েও ভাবছে, তা জেনে ভাল লাগছে।’’