রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, চলতি মাসেই এই মামলার শুনানি হবে।
সোমবার ১০০ দিনের কাজের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের আবেদনে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর এই মামলাটি শুনবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
রাজ্যে গত তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। এ নিয়ে বার বার সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। অভিযোগ, এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত জব কার্ড হোল্ডারদের বঞ্চিত করে ওই টাকা পাঠানো হয়েছে অন্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এমনই নানা যুক্তিতে এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।
গত জুন মাসে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ১০০ দিনের কাজ আবার শুরু করতে হবে। বদলে দুর্নীতি রুখতে রাজ্য সরকারকে যে কোনও শর্ত দিতে পারবে কেন্দ্র। তবে গোটা প্রকল্প বন্ধ রাখা যাবে না। উচ্চ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, যাঁরা কাজ করতে পারছেন না বা কাজ করেও যাঁরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না, তাঁদের কেন ভুগতে হবে? প্রয়োজনে যে চার জেলা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেই জেলা বাদ দিয়ে বাকি অংশে ১০০ দিনের কাজ চালু করা হোক। আদালত আরও জানায়, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প, যার পুরো টাকাই দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সরাসরি শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছে যায়। তাই জনস্বার্থে অবিলম্বে এই কাজ চালু হওয়া দরকার। হাই কোর্টের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র। সেই মামলার শুনানিই এ বার পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে।