West Bengal Weather Update

দক্ষিণে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি, অতি ভারী বর্ষণের লাল সতর্কতা উত্তরেও, চলবে কত দিন?

মৌসুমি অক্ষরেখা এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ির উপর দিয়ে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। তা ছাড়া, বুধবার সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আগামী কয়েক দিনে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করবে। ফলে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও ফের দুর্যোগ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৫ ১১:৩১
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

উত্তরবঙ্গে একটানা ভারী বর্ষণ চলছেই। অন্য দিকে, মাঝে দিন কয়েকের দুর্যোগের পর আপাতত ঝড়বৃষ্টির প্রকোপ কমেছে দক্ষিণবঙ্গে। গরমের কারণে অস্বস্তিও বেড়েছে। তবে বেশিদিন নয়! আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার উত্তর পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। তার জেরে বুধবারের পর থেকেই ফের ঝড়বৃষ্টি বাড়তে পারে দক্ষিণের জেলাগুলিতে।

Advertisement

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি অক্ষরেখা এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ির উপর দিয়ে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। তা ছাড়া, বুধবার সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আগামী কয়েক দিনে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করবে। ফলে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও ফের দুর্যোগ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার বাংলা এবং সংলগ্ন ওড়িশার উপকূলে সমুদ্রও উত্তাল থাকতে পারে। তার জেরে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ও বইতে পারে। বুধবার উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। ওই দিন দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং নদিয়ার পাশাপাশি ঝাড়গ্রামেও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে আপাতত দুর্যোগ কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। এ ছাড়া, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রবল বৃষ্টি (২০ সেন্টিমিটারের বেশি) হওয়ার আশঙ্কা। ওই দুই জেলার জন্য জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। যার জেরে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ধস নামতে পারে সিকিমেও। টানা বৃষ্টির জেরে তিস্তা, তোর্সা এবং জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আলিপুর। বুধবার জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কমলা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহারেও ওই দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।

মঙ্গলবার কলকাতায় তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় বেলা বাড়লে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়তে পারে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৮ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৭ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের থেকে ২.৩ ডিগ্রি বেশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement