অটো চলছে, অথচ তার কোনও বৈধ পারমিট নেই। আর বেআইনি সেই অটোরিকশার চক্করে পড়ে এলাকায় জ্যাম জট কাটছে না মোটেই। যান চলাচলের পাশাপাশি অসুবিধা হচ্ছে যাত্রীদেরও। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে, বিষয়টিতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল ডানলপ বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
গত ৬ অগস্ট মামলাটি প্রথম ওঠে বিচারপতি দত্তের এজলাসে। ওই এলাকায় কোনও বেআইনি অটো চলে কিনা বরাহনগর থানার ওসির কাছে তা জানাতে চান বিচারপতি। যদি বেআইনি ভাবে এলাকায় অটো চলে, তবে তার বিরুদ্ধে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা-ও আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় ওই ওসিকে। এ দিন ফের বিচারপতি দত্তের এজলাসে ওঠে মামলাটি। বরাহনগর থানার ওসি আদালতে জানান, পুলিশ ওই এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালায়। তাতে দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ অটোরই কোনও বৈধ পারমিট নেই। কয়েকটি অটোর আবার অন্য রুটের পারমিট রয়েছে। ওসির দাবি, পুলিশ আট-নয় জন অটোচালকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেছে। এর পর সরকারি আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, অটোগুলোকে কি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে? জবাবে ওসি জানান, চালকদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হলেও অটোগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরাহনগর থানা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত। এ দিন বিচারপতি দত্ত ওই কমিশনারেটের ডিসি ট্র্যাফিকের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেন। নির্দেশ দেন, কেন ওই অটোগুলোকে বাজেয়াপ্ত করা হয়নি তা আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিসি ট্র্যাফিককে আদালতের কাছে জানাতে হবে। বৈধ লাইসেন্স ছাড়া অটো চালানোর বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ডিসি ট্র্যাফিকের কাছে তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি বেআইনি অটো নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
বিচারপতির আশঙ্কা একটি জায়গায় যদি, পুলিশের নাগালের ভেতর এ ভাবে বৈধ অনুমতি ছাড়াই অটো চলতে পারে তবে তা সব জায়গাতেই সম্ভব। এর পরেই তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘ভবিষ্যতে তো সব কমিশনারকেই এই নির্দেশ দিতে হবে!’’