রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন প্রবীণ চিকিৎসক মহেশ গোয়েন্কা। ওই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ারও আবেদন জানান তিনি। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে তাঁকে তাঁর বক্তব্য হলফনামার আকারে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই মামলায় রাজ্য সরকারকেও পাল্টা হলফনামা দাখিল করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ নভেম্বর।
মহেশবাবুর আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত জানান, এক শিশুকন্যার চিকিৎসায় গাফিলতির দায়ে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। তাদের পর্যবেক্ষণ, ওই শিশুর চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রাথমিক প্রমাণও মিলেছে। সেই জন্য বিষয়টি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছেও পাঠিয়েছে তারা। স্বাস্থ্য কমিশনের এই পর্যবেক্ষণ এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে পাঠানোর বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।
এ দিন অন্য একটি মামলায় প্রবীণ চিকিৎসক পূর্ণেন্দু রায়ের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া বা এমসিআই-এর নির্দেশের উপরে আগামী মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি বসাক। এমসিআই নির্দেশ দিয়েছে, পূর্ণেন্দুবাবু এক বছর কোনও ‘প্র্যাক্টিস’ করতে পারবেন না। বিচারপতি বসাক এমসিআই-এর আইনজীবী সৌগত ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছেন, চিকিৎসকের অভিযোগ সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য হলফনামা আকারে পেশ করতে হবে। ওই চিকিৎসককেও পাল্টা হলফনামা দিতে হবে। এই মামলার শুনানি হবে ডিসেম্বরে।
পূর্ণেন্দুবাবুর আইনজীবী প্রতাপ চট্টোপাধ্যায় ও ব্রতীন দে জানান, এক মহিলার মৃত্যুতে এমসিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের মক্কেল এক বছর ‘প্র্যাক্টিস’ করতে পারবেন না। যদিও মেডিক্যাল কমিশন পূর্ণেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।