তাপস পালের উস্কানিমূলক মন্তব্য ও হুমকি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টেরই শোনা উচিত বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী বিজন ঘোষ। তাঁর দাবি ছিল, সাংসদের হুমকির জেরে সত্যিই কোনও হামলা হয়েছে কি না, তার কোনও রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছে কি না, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। আজ প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা, বিচারপতি রোহিনতন নরিম্যান এবং বিচারপতি কুরিয়ন জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠে। প্রধান বিচারপতি জানান, তাঁরা হাইকোর্টকে এড়িয়ে আগেই এই মামলা শুনতে চান না। আবেদনকারীর হাইকোর্টে যাওয়ার অধিকার আছে।
তাপস পালের উস্কানিমূলক মন্তব্য সত্ত্বেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের আদালতে মামলা করেছেন জনৈক বিপ্লব চৌধুরী। মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। সোমবার রায় ঘোষণা হতে পারে বলে জানান বিপ্লববাবুর আইনজীবী অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্টে বিজন ঘোষ যুক্তি দিয়েছিলেন যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন সাংসদ। তাঁর এই ধরনের মন্তব্যের পর সুপ্রিম কোর্ট কী ব্যবস্থা নেয়, তার দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে আছে। রাষ্ট্রপুঞ্জেও ভারতীয় সাংসদদের মন্তব্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, তিনি হাইকোর্টকে এড়িয়ে যাবেন না।
আজই প্রথম সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি ওঠে। এমনও নয় যে, সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে রাজ্য সরকার বা অন্য কারও বক্তব্য শুনতে চেয়েছিল। তা সত্ত্বেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনীপ সাচতে-সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীরা আজ আদালতে হাজির ছিলেন। শুনানির পর বাইরে তাঁরা দাবি তোলেন, সুপ্রিম কোর্টে যে হেতু তাপস পালের বিরুদ্ধে মামলা ‘খারিজ’ হয়ে গিয়েছে, তাই হাইকোর্টেও এই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত।
বিজনবাবু বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের মামলার সঙ্গে হাইকোর্টের মামলার সম্পর্ক নেই।” তাঁর ব্যাখ্যা, হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে মামলা হয়েছে। আর তাঁর দায়ের করা মামলার বিষয়বস্তু হল, সাংসদের বক্তব্য ও তার প্রভাব। বিজনবাবুর দাবি, “প্রশ্ন ন্যায্য বলেই আমাকে হাইকোর্টে যাওয়ার অধিকার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।”