হিলকার্ট রোড সারাতে জিটিএ গডকড়ীর দ্বারস্থ

মাত্র ১০০ মিটার সারালেই ফের শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙে পৌঁছনো যাবে হিলকার্ট রোড ধরে। কিন্তু এখন আংশিক বন্ধ ওই রাস্তা কবে মেরামত করা যাবে, স্পষ্ট বলতে পারছেন না কেউ। এই পরিস্থিতিতে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৫ ০৩:২৬
Share:

তিনধারিয়া এলাকায় ধস।—ফাইল চিত্র।

মাত্র ১০০ মিটার সারালেই ফের শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙে পৌঁছনো যাবে হিলকার্ট রোড ধরে। কিন্তু এখন আংশিক বন্ধ ওই রাস্তা কবে মেরামত করা যাবে, স্পষ্ট বলতে পারছেন না কেউ। এই পরিস্থিতিতে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে। জিটিএ সূত্রের খবর, সম্প্রতি জিটিএ-র প্রধান বিমল গুরুঙ্গ দিল্লিতে গিয়ে হিলকার্ট রোড তাড়াতাড়ি সারানোর অনুরোধ করেছেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রকের কাছে।

Advertisement

শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার হিলকার্ট রোড (৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক) ২০১১ সালে তিনধারিয়ার কাছে পাগলাঝোরায় ১০০ মিটার ধসে যায়। তার আগেও ভূমিকম্পে রাস্তাটির ক্ষতি হয়েছিল। ১৮৪৮ সালে ব্রিটিশ স্থপতিরা হিলকার্ট রোড তৈরি করেন। রাস্তাটি শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং হয়ে পাহাড়ে উঠেছে। শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে হিলকার্ট রোড দিয়ে দার্জিলিঙের দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার।

হিলকার্ট রোড দেখাশোনা করে রাজ্যের পূর্ত দফতরের অধীন জাতীয় সড়ক বিভাগ। পূর্ত দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, ইতালি, জাপান এবং দেশের প্রযুক্তি বিশেষেজ্ঞরা ধসে যাওয়া জায়গা ঘুরে দেখেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ইউপিএ আমলে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। কিন্তু বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা কাজ করতে গিয়ে দেখে, ধসের জন্য এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যে রাস্তার প্রায় ১৫০ মিটার নীচ থেকে পিলার তুলে মেরামত করতে হবে। তার পরে ওই সংস্থা আর কাজ করতে রাজি হয়নি।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সুকনা-রোহিণী হয়ে কার্শিয়াং পৌঁছে সেখান থেকে হিলকার্ট রোড ধরে দার্জিলিং যাওয়া যাচ্ছে। তিস্তাবাজার থেকে পেশক রোড ধরেও কার্শিয়াং পৌঁছনো যায়। তা ছাড়া, মিরিক হয়ে এবং পাঙ্খাবাড়ি দিয়ে দার্জিলিং যাওয়া যাচ্ছে। আর হিলকার্ট রোড মেরামতের জন্য দিল্লির একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নতুন করে ‘ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট’ (ডিপিআর) তৈরি করার বরাত দিয়েছে কেন্দ্র। সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পরে কেন্দ্রের মঞ্জুরি মিললেই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে। কিন্তু স্পষ্ট কোনও সময়সীমা কেউ বলতে পারছেন না। পূর্ত দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘দার্জিলিঙে যাওয়ার বিকল্প রাস্তা রয়েছে বলে হিলকার্ট রোড বন্ধ থাকা নিয়ে কেউ গা করছেন না।’’

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা তথা দার্জিলিঙের বিধায়ক তিলক দেওয়ান বলেন, ‘‘দেশ-বিদেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞেরা এসে তিনধারিয়ায় ওই ধসে যাওয়া জায়গা দেখে গিয়েছেন। কিন্তু সারানোর ব্যাপারে কিছুই করতে পারেননি। চার বছর হয়ে গেল রাস্তাটা বন্ধ। আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীকে জানিয়েছি, এই জাতীয় সড়ক সারানোটা অত্যন্ত জরুরি।’’ আর এক মোর্চা নেতা তথা বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘বহু পর্যটকই হিলকার্ট রোড দিয়ে যেতে পছন্দ করতেন। আমরা চাই, রাস্তাটা দ্রুত সারানো হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন