West Bengal

TET Scam: প্রাথমিকে ২০১১-র পরে চাকরি কাদের? জানতে চায় ইডি, সব জেলাকে জরুরি চিঠি পর্ষদের

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে ২০১১ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে ইডি। সেই তথ্য জোগাড় করতে জেলায় জেলায় চিঠি পাঠাল পর্ষদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২২ ১৮:২৮
Share:

জেলায় জেলায় চিঠি দিল পর্ষদ। —ফাইল ছবি।

২০১১ সালের পরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজ্যে কাদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে রাজ্যের কাছে বিস্তারিত তথ্য চায় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টেরেট। তার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যাবতীয় তথ্য চেয়ে রাজ্যের সব জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠি পাওয়ার পরে জরুরি ভিত্তিতে তথ্য পাঠানোর জন্যও বলা হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে হাই কোর্টের নির্দেশে চলছে তদন্ত। আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। পর্ষদের চিঠিতে বলা হয়েছে, ইডির পক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে ২০১১ সালের পর এখনও পর্যন্ত যত নিয়োগ হয়েছে তার যাবতীয় তথ্য চেয়েছে। তথ্যের নির্দিষ্ট ফরম্যাটও চিঠিতে জানিয়েছে পর্ষদ। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই বিষয়টিকে যেন ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে দেখা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীর নাম, টেট রোল নম্বর, বাবার নাম, কোন ক্যাটাগরিতে চাকরি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি, কোন স্কুলে চাকরি এবং কোন বছরে তা জানাতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে সদ্যই দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম পাল। দায়িত্ব পেয়ে প্রথমেই তিনি জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছ নিয়োগ নিশ্চিত করবেন তিনি। প্রতি বছর যাতে নিয়োগ হয়, সে বিষয়েও নজর রাখবেন। নতুন সভাপতির সেই আশ্বাসের পরে পরেই এই চিঠি। তবে জেলায় জেলায় এই নির্দেশ ইডি তথ্য চাওয়ার জন্যই বলে পর্ষদ জানিয়েছে।

Advertisement

এই চিঠি প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকারের আমলে সব ধরনের নিয়োগেই দুর্নীতি হয়েছে। এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আজ আদালতে মামলা হয়েছে বলে সবাই জানতে পারছেন। না হলে পুরো বিষয়টাই ধামাচাপা পড়ে যেত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement