কেন্দ্রীয় সাহায্য কতটা মিলবে, সংশয়ে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘না-আঁচালে বিশ্বাস নেই। ওরা তো বলেছে, দল পাঠাবে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করবে। এখন দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৪১
Share:

বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ সুন্দরবনের বাসিন্দা।—ছবি এএফপি।

ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করেছে রাজ্য। আজ বা কালকের মধ্যে এসে পড়বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলও। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ধ্বংসলীলার পরে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনে কেন্দ্রীয় সাহায্য কতটা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে ঘোরতর সংশয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

রাজ্যের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘না-আঁচালে বিশ্বাস নেই। ওরা তো বলেছে, দল পাঠাবে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করবে। এখন দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়!’’

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, ঝড়ে ১৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে ন’জনের। পাঁচ লক্ষ ঘরবাড়ির নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে ছ’লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসেব দু’-এক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তার পরে এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে নির্দিষ্ট দাবি জানাবে রাজ্য সরকার।

Advertisement

প্রশাসনিক স্তরে দাবি জানালেও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের পরে ত্রাণ বিলি নিয়ে মমতার প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে-ভাবে অভিযোগ তুলছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘‘সময়টা রাজনীতি করার নয়। এখন একসঙ্গে মিলে দুর্গত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে। রাজনীতি আমরাও করতে পারি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা কিন্তু চুপ করে দেখেছি। মানুষের পাশে দাঁড়ান। এখন আর রাজনীতি বা ভাঙচুর করবেন না।’’ এর উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা তো রাজনীতি করিনি। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝড়ের পরে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন, সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় দলও ক্ষয়ক্ষতি দেখতে আসছে। উল্টে তৃণমূলই নামখানায় আমাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে কালো পতাকা দেখিয়েছে। তা হলে রাজনীতিটা করল কে?’’

বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের খবর, কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ পরিদর্শকদল সরেজমিনে দুর্গত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করবে। তার পরে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থসাহায্য আসতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, শস্য বিমা নেই অথচ চাষের ক্ষতি হয়েছে, এমন পরিবারগুলিকেও ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। উপদ্রুত এলাকায় কেরোসিন ও হ্যারিকেন দেওয়া হবে। কয়েক লক্ষ হ্যারিকেন দরকার। কিন্তু পাইকারি বাজারগুলি থেকে ৩০ হাজারের বেশি হ্যারিকেন পাওয়া যায়নি বলে জানান মমতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন