নিম পাতা: সতেজ পাতা শুকিয়ে নিতে হবে রোদে। এরপর কৌটোয়।
হলুদ: এক কেজি দানাশস্যে ৪০ গ্রাম হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে আধ ঘণ্টার মতো রেখে দিন। কাঁচা হলুদও ব্যবহার করা যেতে পারে। এর তীব্র গন্ধ ও কীটনাশক গুণ পোকামাকড় লাগতে দেবে না।
মশলা: কেউ শুকনো লঙ্কা রেখে দেন পাত্রে। রসুনের তীব্র গন্ধ পোকাদের অপছন্দ। তাই রসুনের কোয়া রেখে দিন চালের মধ্যে।
নুন: ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ রুখতে নুনের ব্যবহার হয়। ত্বক ভেদ করে শরীরে ঢুকে যায় বলে নুন থেকে দূরে পোকারাও। মুগ-মুসুর ডালে নুন মিশিয়ে রেখে দিন নিশ্চিন্তে। তবে, চার-পাঁচ মাসের বেশি নয়। এক কেজি তেঁতুলে ১০ গ্রাম নুন মিশিয়ে মজুত করুন।
লেবু: লেবুর গুঁড়ো চালে মিশিয়ে রাখা যায়।
ছাই: গোবর বা কাঠের ছাই দিয়ে দানাশস্য মজুত করার পদ্ধতিটা একান্ত চাষিদের।
ম্যাচবক্স: ৬-৮টা দেশলাই বাক্স রেখে দিন। দেশলাই কাঠির ফসফরাস পোকামাকড়কে দূরে রাখবে।
রান্নাঘর বা গুদামঘরে ধাড়ি ইঁদুরের উৎপাত রুখতে কিন্তু যন্ত্র বা রাসায়নিক বিষের সাহায্য নিতে হবে।
স্বীকারোক্তি
বরাবরই মদ-সিগারেট ঘোরতর অপছন্দ ছিল বাবার। কিন্তু ক্লাস এইটে পড়ার সময়ে কিছুতেই লোভ সামলাতে পারিনি। নীচের তলার বাথরুমে তিন বন্ধু মিলে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া শুরু করি। দু’চার দিন ধরা না পড়ায় সাহস বেড়ে যায়। হঠাৎই এক দিন সেই সময়ে দরজা ধাক্কায় মা। তড়িঘড়ি মুখ ধুয়ে বেরিয়ে মিথ্যের ঝুলি খুলি। দেখি সিঁড়ির মাথায় দাঁড়িয়ে বাবা। আমাদের থতমত খেতে দেখে মাকে ডেকে বলেন, ‘কিছু বোলো না। মেয়ে আমার কোনও খারাপ কাজ করতেই পারে না।’ তখন স্বস্তি পেলেও এখন একটা অন্যায়বোধ প্রায়ই খোঁচা দেয়।
সহেলি সাহা, শান্তিপুর।