Murder Case

পুজোর ছুটি না-পাওয়ায় নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে খুন! পলতাক দুই আবাসিক

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত আবাসিকেরা পুজোর আগে বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। তাঁদের ছাড়তে রাজি ছিলেন না সংস্থার কর্ণধার মদন রানা। তাই নিয়ে শুরু হয় বচসা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:২৭
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

পুজোর আগে বাড়ি যেতে চাইছিলেন। ছুটি না-পাওয়ায় শুরু হয় বচসা। সেই ক্ষোভ থেকে নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে শিলনোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল সেখানকার দু’জন আবাসিকের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার হুগলির উত্তরপাড়ার এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছোয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। পলাতক ওই দুই অভিযুক্ত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত আবাসিকেরা পুজোর আগে বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। তাঁদের ছাড়তে রাজি ছিলেন না সংস্থার কর্ণধার মদন রানা। তাই নিয়ে শুরু হয় বচসা। শুক্রবার ভোরে রান্নাঘরের চাবি খুলে শিলনোড়া নিয়ে এসে নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিকের উপর চড়াও হন ওই দুই অভিযুক্ত আবাসিক। অভিযোগ, শিলনোড়া দিয়ে মদনের মাথায় আঘাত করেন তাঁরা। অন্য এক আবাসিককেও মারধর করে পালিয়ে যান তাঁরা। ঘটনার খবর পেয়ে মদনের মা ও দিদি নেশামুক্তি কেন্দ্রে যান। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় যুবককে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়ি দমদম বেলঘড়িয়া এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের গ্রেফতার করতে তৎপর হয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে তারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায় ‘টাইম টু চেঞ্জ’ নামে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র রয়েছে। যার কর্ণধার ছিলেন মদন। তিনি ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের প্রাক্তন স্বামী। প্রতারণার অভিযোগে একবার মদনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি নিজেও নেশা করতেন। বছর পাঁচেক আগে উত্তরপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে নেশামুক্তি কেন্দ্র খোলেন। মদনের বিরুদ্ধে এর আগে একবার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ।

Advertisement

মদনের দিদি নন্দিতা বর্মা বলেন, “পৌনে ৭টা নাগাদ খবর পাই ভাইকে মারধর করা হয়েছে। তার পর সেন্টারে এসে আমরা দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। তখনও আমার ভাইয়ের শ্বাস চলছিল। শুধু মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। শরীরে কোনও আঘাত ছিল না। ডাক্তার দেখে বলল আর একটু আগে আনতে পারলেন না?” নন্দিতার সংযোজন, “২০-২২ জন আবাসিক ছিল। এই ঘটনার পর তারা বেশির ভাগই চলে গিয়েছে ট্রেন ধরে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement