—প্রতীকী চিত্র।
ছাঁট লোহার কারখানায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হল এক শিশুশ্রমিকের। স্থানীয় সূত্রে খবর, লোহা কাটার করাতে গলা কেটে যায় তার। ওই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলের বাণীপুর এলাকায়। ইতিমধ্যে ওই কারখানার মালিক এবং তাঁর পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাঁদের হাজির করানো হচ্ছে আদালতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাঁকরাইলের বাণীপুরের শীতলাতলায় একটি ছাঁট লোহার গোডাউনে কাজ করত ১৪ বছরের কিশোরগোপাল দাস। তার বাবা-মা নেই। থাকত দিদা ও দাদুর কাছে। নিম্নবিত্ত বাড়ির ছেলেটি কাজ নিয়েছিল স্থানীয় একটি লোহার গোডাউনে। সেখান থেকে পুরনো লোহার যন্ত্রাংশ কেটে ছোট ছোট টুকরো করে তা ঢালাই করে বিক্রি করা হত।
রবিবার কারখানার অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করছিল গোপাল। হঠাৎ মেশিনের করাতে তার গলা কেটে যায়। ছটফট করতে করতে সেখানেই লুটিয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য শ্রমিক তাকে উদ্ধার করেন। টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাওয়াপোতায় হাজি এসটি মল্লিক গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে প্রথমে হাসপাতালে এবং পরে কারখানায় যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। খোঁজখবর করার পরে কারখানার মালিক লক্ষ্মণ বর্মা এবং তাঁর পুত্র বিশ্বাস বর্মাকে গ্রেফতার করে তারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে শিশুশ্রম বিরোধী আইন লঙ্ঘন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সোমবার পিতা-পুত্রকে হাওড়া আদালতে হাজির করানো হয়েছে।