Rape victim

গ্রামীণ হাওড়ায় বৃদ্ধাকে ধর্ষণের নালিশ, গ্রেফতার

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধা বাড়িতে একাই ছিলেন। গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। গ্রামবাসীরা সেখানে ভিড় করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া-চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৫
Share:

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রফতার এক ব্যক্তি। প্রতীকী চিত্র।

সপ্তাহদুয়েক আগে গ্রামীণ হাওড়ায় এক নাবালিকার যৌন হেনস্থা রুখতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন তার বাবা। এ বার ওই জায়গা থেকে কিছুটা দূরের অন্য একটি এলাকায় ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও পর পর দু’টি ঘটনায় ফের গ্রামীণ হাওড়ায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধা বাড়িতে একাই ছিলেন। গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। গ্রামবাসীরা সেখানে ভিড় করেছিলেন। সেই সুযোগে ওই পড়শি যুবক বাড়িতে ঢুকে ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। রাতে পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরলে বৃদ্ধা তাঁদের সব কথাজানান। বৃদ্ধাকে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। রবিবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুলিশের দাবি, ওই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই খোঁজ চালানো হলেও অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে অভিযুক্তের খোঁজ মিলতেই গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

সপ্তাহদুয়েক আগের ঘটনাটিতে খুনের অভিযোগ উঠেছিল দুই মত্ত যুবকের বিরুদ্ধে। এলাকায় চোলাই মদের রমরমা কারবার নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন গ্রামবাসী। পুলিশ দুই মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। চোলাই কারবার রুখতে অভিযান চালায়। দ্বিতীয় ঘটনাটির ক্ষেত্রেও এলাকায় চোলাই কারবারের রমরমা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় মহিলাদের কোনও রকম সুরক্ষা নেই। পুলিশের নজরদারি অভাবেই এ সব ঘটছে।

স্থানীয় বিজেপি নেতা কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। এলাকায় চোলাই মদের ঠেক রমরমিয়ে চলছে। ১৫ দিনের মধ্যে দু’টি যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটল। তবুও পুলিশ চুপ।’’ কংগ্রেস নেতা আতিয়ার রহমান বলেন, ‘‘এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। এর জন্য পুরোপুরি দায়ী পুলিশ প্রশাসন।’’ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূল নেতা কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘পুলিশকে বলব, আরও বেশি নজরদারি চালাতে এবং অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে।’’

হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘গ্রামীণ হাওড়ার সব চোলাই মদের ঠেক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ নিয়মিত নজরদারি চালায়। আরও বেশি করে নজরদারি চালানো হবে।’’

পুলিশের এই দাবির সঙ্গে সহমত নন ওই বৃদ্ধার গ্রামের বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন