— প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে বাধা ছিলেন স্বামী! শনিবার স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। এর পরেই তাঁকে ছুরি দিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার মগরার শেরপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় মগরা থানার পুলিশ। তারা ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় ও পরিবারের সকলকে জিজ্ঞাসবাদও করে তারা। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
মগরার শেরপুর এলাকায় বাড়ি মৃত প্রসেনজিৎ দাসের (৩৬)। প্রসেনজিৎ ও তাঁর স্ত্রী রত্না দাসের ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলাগড় নিত্যানন্দপুরের সুব্রত ভক্তের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতেন সুব্রত ও রত্না। এই নিয়ে স্ত্রীর প্রেমিক সুব্রতর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ঝামেলাও হয় প্রসেনজিতের। প্রসেনজিৎ এই সম্পর্ক মানতে চাননি বলে দাবি পরিবারের।
প্রসেনজিতের মা কল্পনা দাস বলেন, “শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সুব্রত মদ খেয়ে বাড়িতে আসে। প্রসেনজিৎকে ডাকাডাকি করে। তখন আমার বড় ছেলে বাড়ি ছিল না। সুব্রতকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলি। কিন্ত সে শুনতে নারাজ। এর পর আমার ছোট ছেলেকে মারে সুব্রত। সে সময়ে প্রসেনজিৎ কাজ থেকে বাড়ি ফেরে। শুরু হয় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি। তার পরেই প্রসেনজিৎকে ছুরি মেরে দেয় সুব্রত। মগরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানিয়ে দেন।”
প্রসেনজিতের বোন খবর পেয়ে থানায় যান। তিনি বলেন, “বৌদির সঙ্গে সুব্রতর প্রেম অনেক দিনের। তা নিয়ে অশান্তি হত। ছেলের কথা ভেবে দাদা মানিয়ে চলত। আমার বৌদি তার প্রেমিককে দিয়ে দাদাকে খুন করিয়েছে। দু’জনেরই শাস্তি চাই।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।