Panchla

Panchla: ভবন তৈরি হয়নি, পাঁচিল ঘেরা জমি পড়ে ১২ বছর

এই আবাসিক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হওয়ার কথা।

Advertisement

নুরুল আবসার

পাঁচলা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২২ ০৬:২৭
Share:

পাঁচলার গঙ্গাধরপুরে জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পাঁচিল।

জমি পাওয়া গিয়েছে প্রায় ১২ বছর আগে। কথা ছিল এখানেই হবে জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ভবন। কিন্তু শুধুমাত্র পাঁচিল দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ হয়নি। ছবিটি পাঁচলার গঙ্গাধরপুরের।

Advertisement

কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়টি গড়ার জন্য ২০১০ সালে ৩৩ বিঘা জমি দান করেছিলেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সন্তোষকুমার দাস। কথা ছিল, এখানে জমি পাওয়ার দু’বছরের মধ্যেই বিদ্যালয় ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় হতাশ সন্তোষবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ এ ভাবে জমি নিয়ে ফেলে রাখা হবে জানলে আমি দিতাম না।’’

কেন হচ্ছে না ভবন?

Advertisement

স্কুল সূত্রে খবর, কাজটি করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রথম পর্যায়ে তারা পাঁচিল দিয়ে পুরো জায়গাটি ঘিরে দিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ভবন তৈরি হবে। সব মিলিয়ে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ভবন তৈরির কাজ দ্রুত শুরুর আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লেখা হয়েছে। তবে কাজ শুরু নিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি।

প্রতি জেলাতেই একটা করে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবাসিক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হওয়ার কথা। নিখরচায় পড়ার সুযোগ মেলে এই স্কুলে। জেলার পড়ুয়ারাই এখানে ভর্তির সুযোগ পায়।

হাওড়া জেলায় স্কুলটি প্রথম গড়ার কথা হয় ২০০০ সালের গোড়ায়। নিয়ম হল, স্কুলের জমির ব্যবস্থা করতে হয় জেলা প্রশাসনকে। ভবন তৈরি করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু হাওড়া জেলা প্রশাসন জমির ব্যবস্থা করতে পারেনি। ২০০৬ সালে বাগনানের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ভবনে পঠনপাঠন শুরু হয়। ২০১০ সালে পাঁচলার গঙ্গাধরপুরে জমি দান করেন সন্তোষবাবু। শুধু তাই নয়, অস্থায়ী ভাবে পঠনপাঠন চালানোর জন্য তিনি একটি বাড়িও তৈরি করে দেন।

ভবন না হওয়ায় এখনও সেখানেই চলছে পঠনপাঠন। কিন্তু নিজস্ব ভবন থাকলে যেখানে ৫০০ পড়ুয়া পড়ার কথা, এখন অস্থায়ী সেই ভবনে পড়ুয়া সংখ্যা অর্ধেক। শুধু তাই নয়, স্থান-সঙ্কটের জন্য ২০০৬ সাল থেকে এখানে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ভর্তিই হতে পারেনি। উল্টে এখানকার একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ভর্তি হয়েছে অন্য জেলার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে।

সন্তোষবাবুর একটি ট্রাস্ট আছে। সেই ট্রাস্টের অধীনে বিএড কলেজ ও ফুটবল অ্যাকাডেমি আছে। সন্তোষবাবু বলেন, ‘‘বিএড কলেজের জমিতেই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় চালানোর জন্য বাড়ি বানিয়ে দিয়েছি। কথা ছিল, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ভবন হয়ে গেলে আমাদের ভবন ফেরত পেয়ে যাব। সেখানে বিএড কলেজের সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন