Hooghly Incident

বোনের বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েও যাননি! হুগলির নিখোঁজ সেই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ঘনাচ্ছে রহস্য

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম রিনা সাঁতরা। হুগলির সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকগটু গ্রামের বাসিন্দা। স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বছরকয়েক আগে। মেয়েরও বিয়ে হয়ে যায়। তবে বছরখানেক আগে সেই মেয়ে আত্মঘাতী হন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৫৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বোনের বাড়ি যাবেন বলে বাড়ি থেকে বার হন। পুত্র গিয়ে মাকে ট্রেকারে তুলে দেয়। কিন্তু রাত বাড়লেও মাসির বাড়ি না-পৌঁছোনোয় চিন্তায় পড়েছিল নাবালক পুত্র। মা কোথায় গেলেন, তা নিয়ে খোঁজখবরও শুরু করে সে। তবে শুক্রবার সকালে সেই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এক পুরনো বাড়ি থেকে। খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে রহস্য ঘনাচ্ছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম রিনা সাঁতরা। হুগলির সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকগটু গ্রামের বাসিন্দা। স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বছরকয়েক আগে। মেয়েরও বিয়ে হয়ে যায়। তবে বছরখানেক আগে সেই মেয়ে আত্মঘাতী হন। বাড়িতে ১৫ বছরের পুত্রকে নিয়ে থাকতেন রীনা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নিজের বোনের বাড়ি যাবেন বলে ঠিক করেন তিনি। সেইমতো দুপুরে মাকে সুগন্ধা বাগপাড়া মোড় থেকে ট্রেকারে তুলে দেয় পুত্র।

রিনার বোনের বাড়ি হারিট গ্রামে। বেশি দূর নয়। তবে ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে গেলেও রিনা তাঁর বোনের বাড়ি পৌঁছোননি। মাসতুতো দাদার ফোন পেয়ে সে কথা জানতে পেরে চিন্তায় পড়ে রীনার নাবালক পুত্র। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। রাতে রিনা বাড়ি না-ফেরায় সুগন্ধা পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে জানায় রিনার পরিবার।

Advertisement

শুক্রবার সকালে চক গোটু গ্রামের এক পুরনো বাড়ি থেকে রিনার দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িটিও রিনাদেরই। তবে বর্তমানে সেখানে থাকতেন না কেউই। তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল সেই বাড়ি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রীনা। তবে আত্মহত্যার কারণ বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement