Youth dead

জম্মুতে কাজে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, বাড়ির সন্দেহ খুন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:১৭
Share:

সুরজিৎ দাস।

ছাব্বিশ দিন আগে তিন বন্ধুর সঙ্গে জম্মুতে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে গিয়েছিলেন হুগলির শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর রায়পাড়ার বাসিন্দা সুরজিৎ দাস। সোমবার দুপুরে বছর তেইশের ওই যুবকের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছল বাড়িতে। পরিবারের লোকজনের সন্দেহ, তাঁকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

সুরজিতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মুর রামবান জেলার বনিহালে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁর সঙ্গী তিন বন্ধুর বাড়ি কোন্নগরের চটকল লাইন এলাকায়। সুরজিতের আত্মীয়দের দাবি, তাঁর ওই বন্ধুদের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। প্রথমে বন্ধুরা বলেছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুরজিৎ মারা গিয়েছেন। পরে এক বন্ধু জানান, তাঁরা কিছু করেননি। সুরজিৎ সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছেন। দেহটি ময়নাতদন্তের পরে তড়িঘড়ি বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চাইছেন ঠিকাদার।

তাতেই পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ বাড়ে। সুরজিতের মা সুলতা দাস বলেন, ‘‘ছেলের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা সেখানে পৌঁছলে তবেই যেন দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়।’’ পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, জম্মুতে গিয়ে প্রয়োজনে তাঁরা সেখানকার স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাবেন। তিন বন্ধুকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত সত্য জানা যাবে।

Advertisement

সুলতা জানান, সামনে পুজো থাকায় এই সময় তিনি ছেলেকে ভিন্‌ রাজ্যে কাজে যেতে নিষেধ করেছিলেন। সুরজিৎ তাঁকে বলেন, কাজ করলে পয়সা আসবে। একই সঙ্গে কাশ্মীরে ঘোরাও হবে। কাজে যাওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ছেলের সঙ্গে ফোনে তাঁর কথা হত। শেষ কথা হয় রবিবার। এ দিন সুরজিতের মৃত্যুর ঘটনা কানাইপুর ফাঁড়িতে গিয়ে জানান বাড়ির লোকেরা।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, প্রকৃত ঘটনা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য জম্মুর যে হাসপাতালের মর্গে সুরজিতের দেহ রয়েছে, সেখানে এবং স্থানীয় থানায় ওই যুবকের বাড়ির লোকজনের যোগাযোগের ব্যাপারে মধ্যস্থতা
করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন