Arambagh Municipality

বর্জ্য ফেলা নিয়ে ওষুধ দোকানের মালিক ও নার্সিংহোমকে সতর্ক করল প্রশাসন

পুরসভা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সব থেকে খারাপ অবস্থা শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড লিঙ্ক রোডের নেতাজি স্কোয়ার থেকে হাসপাতাল রোড এবং সংলগ্ন এলাকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৯
Share:

আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ে রয়েছে চিকিৎসা বর্জ্য (বাং দিকে)। মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে চলছে বৈঠক (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসা-বর্জ্যে ছয়লাপ আরামবাগ শহর। ১৯টি ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে নার্সিংহোমের বর্জ্য। যত্রতত্র দেখা যায় প্লাস্টার, গ্লাভস, স্যালাইনের নল, বোতল, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ। ওষুধের দোকান থেকেও বর্জ্য ছড়ায় বলে অভিযোগ। শহরের এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে মানুষের ক্ষোভ ছিল বিস্তর। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুর এলাকার সমস্ত নার্সিংহোম এবং ওষুধের দোকানের মালিকদের ডেকে বৈঠক করে সতর্ক করে পুরসভা এবং মহকুমা প্রশাসন।

Advertisement

মহকুমাশাসকের দিশা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই বৈঠকের পরে পুরসভার আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বলেন, “এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মানা যাবে না। বর্জ্য ফেলা নিয়ে নার্সিংহোম এবং ওষুধের দোকানের মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে।’’ পুরপ্রধান সমীর ভান্ডারীর বক্তব্যও একই।

পুরসভা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সব থেকে খারাপ অবস্থা শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড লিঙ্ক রোডের নেতাজি স্কোয়ার থেকে হাসপাতাল রোড এবং সংলগ্ন এলাকার। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ব্লক অফিস, রবীন্দ্রভবন এবং আরামবাগ স্টেশনে যাতায়াতের ওই পথের দু’ধারে সার দিয়ে রয়েছে ওষুধের দোকান। দোকানগুলিতে অসংখ্য চিকিৎসকের চেম্বার রয়েছে। পলিক্নিনিকও চলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “যেখানে সেখানে চিকিৎসা আবর্জনা ফেলা নিয়ে প্রতিবাদ করে কাজ হয়নি। পুরসভাও এত দিন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওষুধের দোকানের এক মালিক জানান, পুরসভার কাছে চিকিৎসা-আবর্জনা ফেলার জন্য আধার চাওয়া হয়েছে বহু বার। তা না মেলায় রাস্তার ধারে নিকাশি নালার গায়ে রেখে দিতে হয়। সে সব ছড়িয়ে যেতে পারে। নার্সিংহোমগুলির মালিকদের দাবি, তাদের বর্জ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি সংস্থা টাকার বিনিময়ে গাড়িতে প্রতি দিন তুলে নিয়ে যায়। এরপরেও নজর এড়িয়ে ভ্যাট থেকে কুকুরে টেনে নিয়ে গেলে বা অন্য ভাবে ছড়ালে তা জানা নেই।

আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও বর্জ্য ছড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজের সার্বিক পরিকাঠামোর কাজ সম্পূর্ণ হলে বর্জ্য নিয়ে কোনও অসুবিধা থাকবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন